![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি'র অফিস সংলগ্ন ১৮টি দোকানঘরের অবৈধ স্থাপনা ও সহকারি কমিশনারের সরকারি বাসভবনের পাশে গড়ে ওঠা ৯টি দোকান ঘরের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করে ৮০ লক্ষ টাকার ১০ শতাংশ ভুমি উদ্ধার করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) জেলা প্রশাসক (ডিসি)মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আব্দুল কাইয়ূম এর নির্দেশে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান।
জানা গেছে, পৌর সভার সম্মুখে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি)অফিসের পূর্ব ও উওর পাশে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৪ শতাংশ ভুমিতে গড়ে ওঠে ১৮ টি মুদি,মিষ্টি,কাটা কাপড়,পান- সিগারেট ও ফলের দোকান। ব্যবসায়ীরা যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিপন্থী ও সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকারি ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের একাধিক ভার নোটিশ ও সময় বেধে আলটিমেটাম দিয়েও কোন লাভ হয়নি। উপরন্তু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ওই নির্দেশের প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে থানা পুলিশ ও শ্রমিক নিয়ে উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। অপরদিকে সরকারি কমিশনার (ভূমি) এর বাসভবনের (বালুর মাঠ) উত্তর পাশে এক শ্রেণীর অসাধু ৯টি রেস্তরার ব্যবসায়ীরা সরকারি ০৬ শতাংশ ভুমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় ওইসব ঘরের অবৈধ বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করে সরকারের বেহাত হওয়া ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৬ শতাংশ ভুমি উদ্ধার করেন। এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় জনসাধারণ স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং উপজেলা প্রশাসন প্রশংসায় ভাসছেন।অভিনন্দন জানিয়েছেন ফেস পেইজে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান জানান,খাস ভূমিতে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ভুমি অফিসের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হলেও তারা সরিয়ে না নেয়ায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।উদ্ধার হওয়া ভূমিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সীমানা প্রাচীর দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আব্দুল কাইয়ূম জানান,দখলদারদের খাস ভুমিতে সম্পূর্ণ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে ও লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল।ব্যবসায়ীরা ওই নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন।উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে ভূমি অফিসের বেদখল হওয়া প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৪ শতাংশ ভুমি উদ্ধার করা হয়েছে।এ ছাড়া সরকারি কমিশনার (ভুমি) এর বাসভবন সংলগ্ন (বালুর মাঠ)ভুমিতে দোকানদার যে সরকারি ভুমি দখল করেছিলে সেটিও উচ্ছেদ করে ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৬ শতাংশ ভুমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি জমি,খাল,নদী ও জলাশয় সরকারের দখলে ফিরিয়ে আনা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস
আপনার মতামত লিখুন: