• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

টানেলে আটকেপড়া ৪০ শ্রমিক ৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৬ এএম
টানেলে আটকেপড়া
৪০ শ্রমিক ৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে নির্মাণাধীন টানেল ধসের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি আটকেপড়া ৪০ শ্রমিক। কীভাবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে নানান পরিকল্পনা হলেও এখনও আশার আলো দেখতে পাননি উদ্ধারকারীরা। (খবর এনডিটিভির)।

৪০ জনের সেই দলে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত জেলার ছানি গোথ গ্রামের বাসিন্দা পুস্কর। ২৫ বছর বয়সী পুস্করের ভাই বিক্রমও নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে রয়েছেন তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা। সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে বাবা-মাকে কিছু না জানিয়েই উত্তরকাশীতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন বিক্রম। ভাই কেমন আছে তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি।

শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত পানি, খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু যতই সময় এগোচ্ছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ। বাড়ির লোক আটকে রয়েছেন জানতে পেরে অস্থিরতায় দিন পার করছে অসংখ্য পরিবার। 

সংবাদমাধ্যমকে বিক্রম জানিয়েছেন, ঘটনার ছয় দিনের মাথায় অর্থাৎ শুক্রবার ভাইয়ের সঙ্গে কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি যোগাযোগ করতে পারেন। বিক্রম বলেন, ‘ওর গলা শুনে মনে হচ্ছিল খুব ক্লান্ত, আতঙ্কিত হয়ে আছে। কিন্তু আমাকে বার বার আশ্বাস দেয়ার জন্য বলেছে যে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ভাই একা নয়, ওর সঙ্গে আরও অনেকে আছে।
 
কয়েক মুহূর্তের কথার মধ্যেই বিক্রমও ভাইকে চিন্তা না করার কথা বলেন। আর ভাইয়ের গলা শুনেই পুস্কর বলে ওঠে, ‘আমি যে সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছি মাকে বলিস না। চিন্তা করবে।’ কিন্তু পুস্করের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার কথা যে বাবা-মায়ের থেকে গোপন রাখা যায়নি। গ্রামবাসীদের অনেকে বিষয়টি জানতেই বাবা-মায়ের কানেও ছেলের খবর পৌঁছে গেছে বলে জানান বিক্রম।
 
আটকেপড়া শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা যোগাযোগ করছেন। টানেলের কাছে মোতায়েন রাখা হয়েছে একটি মেডিকেল টিম। তবুও শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার না করা পর্যন্ত চিন্তা কমছে না।
 
শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের দু’টি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ১৬৫ জন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজের বাহিনী। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কে এন

আরো পড়ুন

banner image
banner image