
মোঃ আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে এক নববধূ স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর মরদেহ ওয়্যারড্রপে রেখে ১৭ ঘন্টা পরে নিজেই কোতয়ালী থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ঘাতক স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩৩)।
(শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতের কোন এক সময় দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় এই ঘটনা ঘটে।
কোতয়ালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছিল। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে।
ঘাতক স্বামী নববধূকে হত্যা করে ১৭ ঘন্টা পড়ে নিজে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করে।
নিহত নববধু সুমাইয়া আক্তার হাসি (২৭) জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা।
ঘাতক স্বামী মনোয়ার হোসেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন মনোয়ার হোসেন শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন জানান মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে গত ২০ জানুয়ারি বিয়ে হয় সুমাইয়া আক্তার হাসির।
দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তারা দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া (জেল খানার পেছনে) একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ ওয়্যারড্রপের ভেতর রেখে দেন স্বামী মনোয়ার হোসেন। এরপর প্রায় ১৭ ঘন্টা পড়ে রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায় মনোয়ার। এরপর পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়্যারড্রপ থেকে সুমাইয়া আক্তার হাসির লাশ উদ্ধার করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: