• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে ট্রেন ছুটবে ১ নভেম্বর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:০৯ এএম
পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে ছুটবে
ট্রেন

নিউজ ডেস্ক : যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন ১ নভেম্বর থেকেই পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে চলবে । ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ প্রস্তুত। সুন্দরবন, বেনাপোল ও মধুমতি ট্রেনও প্রস্তুত। এই রুটের ট্রেন ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। 

চলছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সিডিউল তৈরির কাজ। নতুন রুটের সিডিউল অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে বাণিজ্যিক রেল চলাচলের কথা জানিয়েছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন। 

পদ্মা সেতুর রেলপথ উদ্বোধন করার পরই ৮২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার পথ কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবন, বেনাপোল ও মধুমতি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বেনাপোল এক্সপ্রেস যাবে পদ্মা সেতু হয়ে যশোরের বেনাপোল। মধুমতি পদ্মা উত্তর অতিক্রম করে ভাঙ্গা হয়ে যাবে রাজশাহী। আর সুন্দরবন যাবে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা। 

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০টি স্টেশনের সাতটিই নতুন। বাকি তিনটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের অপেক্ষায় এখন পদ্মা পাড়ের মানুষ। গেন্ডারিয়া-কেরাণীগঞ্জ উড়াল পথে পাঁচ গুণ এবং পদ্মা সেতুতে ভাড়া ২৫ গুণ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি তাদের। স্বপ্ন জয়ের পদ্মা সেতু দিয়ে দ্রুত গতির রেল চলাচল শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্কের একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

দেশের সবচেয়ে নয়নাভিরাম ও অত্যাধুনিক রেলপথের নাম এখন ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ। মঙ্গলবার দুপুরে মাওয়া স্টেশন থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নিজে টিকিট কেটে নতুন রেলপথে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনে পৌঁছান। এতে পদ্মা সেতুতে যাত্রী চলাচল পূর্ণতা পেল।

রাজধানীর কমলাপুর থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেল লাইনের চিত্রটাই পালটে গেছে। কমলাপুরের ৮ থেকে ১১ নম্বর প্ল্যাটফরম অত্যাধুনিক আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্ল্যাটফরম থেকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন পৌঁছেছে শ্যামপুর আউটার পর্যন্ত। শ্যামপুর থেকে রেলপথটি উড়াল দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে ৪০০ মিটার দীর্ঘ বুড়িগঙ্গা রেল সেতু হয়ে কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও অতিক্রম করে উড়ালপথে রেললাইন প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সিরাজদিখানের কুচিয়া মোড়া পর্যন্ত। ধলেশ্বরীর দুটি শাখা নদীতে ৩০০ মিটার দীর্ঘ পোরাহাটি রেল সেতু ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ বিবিরবাজার সেতু পাড়ি দিয়ে পলাশপুর ও কুচিয়ামোড়াকে যুক্ত করা ৫০০ মিটার ধলেশ্বরী রেল সেতু। উড়ালপথের এই ১৭ কিলোমিটারই পাথরবিহীন রেল লাইন। এরপরই উড়ালপথ শেষে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সেতুর নিচ দিয়ে পাথরসহ রেললাইন যুক্ত হয়েছে নিমতলী রেল স্টেশনে। বাণিজ্যিকভাবে এই স্টেশনে নানান সুবিধা রাখা হয়েছে। এটি প্রকল্পে ভাঙ্গা জংশনের পরই সর্ববৃহৎ স্টেশন।  নতুন রেল লাইন  শ্রীনগর স্টেশন হয়ে যুক্ত হয়েছে মাওয়ার সঙ্গে। মাওয়া স্টেশন থেকে সামান্য আগালেই পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট থেকে আবার উড়ালপথ শুরু। পদ্মা সেতু হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচসহ পদ্মা সেতু পাথরবিহীন। তাই ৮২ কিলোমিটারের প্রায় ৩০ কিলোমিটারই পাথরবিহীন রেললাইন। 

উড়াল রেলপথটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এ উড়াল পথটির আশপাশের মনোরম দৃশ্য যাত্রীদের বাড়তি আনন্দও দেবে। এদিকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে তিন তলাবিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন। ১২টি প্ল্যাটফরমের সমন্বয়ে এক ধরনের `হাব' সিস্টেমের এ স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা ও সেবা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের ব্যবস্থাই থাকছে। স্টেশন ভবনের নিচ তলা দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image