আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর দিয়ে এক মাস পনের দিন পর আলু আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতিকেজি আলুতে দাম কমেছে ৭ থেকে ১০ টাকা।
প্রথম দিনে ৭৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারত থেকে আলু আমদানির খবরে দিনাজপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুতে দাম কমেছে ৭ থেকে ১০ টাকা। ২৫ থেকে ৩০ টাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে আলু।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেসার্স মুক্তা এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৭৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি করে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানাযায় এই বন্দরের ৪৯ জন আমদানীকারক ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানীর অনুমতি পেয়েছে।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি হল্যান্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে এবং দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। গত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এই বাজারে প্রতিকেজি হল্যান্ড আলু বিক্রি হয় ৩৫ টাকা থেকে ৩৮ টাকা দরে এবং দেশী আলু বিক্রি হয় ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুরবাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা মোতাহার আলী বলেন ভারত থেকে আলু আমদানি করা হবে এমন খবরেই পাইকাররা কমিয়ে দিয়েছে আলুর দাম। পাইকাররা দাম কমিয়ে দেয়ায় আমরাও কম দামে বিক্রি করছি।
বাহাদুর বাজারের আলুর পাইকারী বিক্রেতা লিয়াকত আলী জানান, কৃষকরা এখন পুরোদমে জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছে। ফলে বাজারে আলুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে । ভারত থেকে আলু আসলে দাম আরও কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার আমিসহ বন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া শুরু করে। আমি দুই হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছি। বন্দরের যেসব আমদানিকারক আবেদন করেছিলেন, সবাই অনুমোদন পেয়েছেন। আইপি পাওয়ার পর এলসি খুলেছি আমরা।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিলির ৪৯ জন আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের সার্ভারে আইপি আপলোড দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা।
উল্লেখ্য, সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস
আপনার মতামত লিখুন: