
নিউজ ডেস্ক: বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক) উদ্বোধন হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে যানবাহন পৌঁছে যাবে ফার্মগেটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে উড়ালসড়কে উঠবেন। টোল পরিশোধ করে উড়ালসড়কের বিজয় সরণি প্রান্ত দিয়ে নেমে যাবেন আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানে তিনি বক্তব্য দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে রবিবার ভোর ৬টা থেকে যানবাহন এতে চলাচল করতে পারবে। তবে পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন উড়াল সড়কে উঠতে পারবে না।
উড়াল সড়কের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
উড়ালসড়ক ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাককে ৮০ টাকা, বাস ও মিনিবাস ১৬০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলরে ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে।
উড়ালসড়কটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল উড়ালসড়ক ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প (সংযোগ সড়ক) রয়েছে। র্যাম্পসহ উড়ালসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট এই সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগত। কোনো কোনো সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে উড়ালসড়কে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।
বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: