
নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উপকূলীয় এলাকায় গাছপালা-ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।। রোববার দুপুর থেকে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস-বৃষ্টি বাড়তে থাকে। এসময় উপকূলের অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
সরেজমিনে দুপুর ৩টার দিকে জাদিমুরা শিবিরে দেখা যায়, নারী ও শিশুদের আলাদা করে মসজিদ-মক্তবে রাখা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে তিন শতাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে দুপুরে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টিতে অনেকের ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অনেকে স্বজনদের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। তার শিবিরের প্রায় এক হাজার মানুষের ঘরের ক্ষতি হয়েছে।
উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইউনুছ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাতে আমার ক্যাম্পে ৫শ’ ঘর ভেঙে গেছে। এ সময় গাছপালা পড়ে তিনজন আহত হয়েছেন। আশ্রয়হীন মানুষকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আরআরআরসি) জানান, ক্যাম্পে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গার ঘর ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: