নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে করাচির দায়রা আদালত এক ব্যক্তিকে ৮০ বেত্রাঘাতের আদেশ দিয়েছে। যা সেখানকার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। আদালত লোকটিকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ এনে তার মেয়ে কে গ্রহণ করতে অস্বীকার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মালির শেহনাজ বোহিও অভিযুক্ত ফরিদ কাদিরকে কমপক্ষে ৮০ বেত্রাঘাতের সাজা দেন। আদেশে বলা হয়েছে, "কাযাফের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে ৮০টি বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হবে।"
ফরিদের প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী (ফরিদ) ভরণপোষণ দিতে বা আমাকে এবং আমাদের নবজাতক কন্যাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন। পারিবারিক আদালতে মামলা করে আমার পক্ষে ডিক্রি পেয়েছি।
আদালত ফরিদকে তার মেয়ে ও আমার (ফরিদের প্রাক্তন স্ত্রী) ভরণপোষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেও আমার স্বামী আদালতে দুটি আবেদনপত্র দাখিল করেন, যার মধ্যে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা এবং তার মেয়ের প্রত্যাখ্যানের দাবি জানানো হয়।
পরে ফরিদ এসব আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ফরিদ তার সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার স্ত্রী তার সঙ্গে মাত্র ছয় ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী মাত্র ছয় ঘণ্টা একসঙ্গে ছিলাম। তারপর তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং ফিরে আসেননি।” পাকিস্তানে ৮০ বেত্রাঘাতের শাস্তি ৭০ দশকের জিয়া উল হকের আমল থেকে দেখা যায়নি।
প্রসিকিউটর সায়রা বানু বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমার গত ১৪ বছরের চাকরিতে আমি কাযাফ অধ্যাদেশের ৭ ধারায় বেত্রাঘাতের কোনো শাস্তি দেখিনি।
তিনি বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে শারীরিক শাস্তির আকারে এই ধরনের বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রথম ঘটনা হতে পারে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: