জাফর আলম, কক্সবাজার: কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরন প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা, হয়রানি, যেকোন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং মধ্যস্বত্বভোগীর অপতৎপরতা রোধে জেলা প্রশাসন নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি ভূমি মালিকদের সাথে প্রশাসনের সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবারের নির্ধারিত গণশুনানির পাশাপাশি শুধু ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের জন্য প্রতি মাসে একটি দিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানির ব্যবস্থা করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণ যাতে কোন দালালের শরণাপন্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেলক্ষ্যে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক ও স্থানীয় জনগনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ঝাপুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রকল্প এলাকায় শুনানি গ্রহণ ও চেক বিতরণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে।
যেকোন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিরোধে ভূমি মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য কোন মধ্যস্বত্বভোগী দালালের শরণাপন্ন না হয়ে নিজের কাজ নিজে করতে হবে এবং প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বা জেলা প্রশাসকের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
তার দপ্তরের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি অনিয়মে জড়ালে বা কাংখিত সেবা প্রদানে গড়িমসি করলে জেলা প্রশাসক সরাসরি তার নিকট অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়ে বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চর্তুথ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের সন্তানদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ভূমি মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আমিন আল পারভেজ। মহেশখালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শুভাশিস চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএফএম শামীম, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ।
কক্সবাজারে বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেললাইন, অর্থনৈতিক অঞ্চল, সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি টার্মিনাল, সিংগেল পয়েন্ট মুরিং স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেলায় প্রায় ২৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: