• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

একদিনের নবজাতক রেখে মা বসলেন পরীক্ষায়


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৪৮ পিএম
একদিনের
নবজাতক রেখে মা পরীক্ষায়

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী অন্ত:সত্তা গৃবধু তানিয়া সুলতানা মৃদু প্রসব ব্যাথা নিয়ে গত মঙ্গলবার পরীক্ষায় বসেন। সন্ধায় পৌর এলাকার বেসরকারি একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার  সকালে একদিনের নবজাতককে মায়ের কুলে রেখে বসলেন ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায়।  

জানা যায়,  চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজ থেকে তানিয়া সুলতানা  বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত মঙ্গলবার ইংরেজী ১মপত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাঁর মৃদু প্রসব ব্যথা শুরু হয়। এভাবেই পরীক্ষা শেষ করে স্বজনদের সহযোগিতায় সরাসরি এসে উঠেন গফরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে। সেখানে সন্ধায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম হয়  নবজাতকের। একদিনের নবজাতককে রেখে বৃস্পতিবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র  পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হন তানিয়া সুলতানা। কেন্দ্রে বিশেষ যত্ন সহকারে নেওয়া হয় তাঁর পরীক্ষা।

তানিয়ার স্বামী সেনাসদস্য আরিফুল ইসলামের উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত বছরের ফেব্রুয়ারীতে বিয়ে হয় তানিয়া সুলতানার।
তানিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়,অন্ত:সত্তা হয়েও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শিক্ষা জীবনের পরীক্ষার মধ্যে মাতৃত্বের আরেক পরীক্ষা দিতে হবে ভাবতে পারেননি নিজেও। তানিয়ার মা মিনু বেগম বলেন,আমার মেয়েটি মেধাবী, তাই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের পড়াশোনার আগ্রহ দেখে সকলেই উৎসাহ দেয়। মনের জোর আর সকলের সহযোগিতাই তানিয়াকে উচ্চ শিক্ষার পথ করে দিয়েছে।'
এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. ইমরান হোসাইন বলেন, 'এই পরীক্ষার্থীকে বিশেষ যত্নে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সার্বক্ষণিক তার শারীরিক খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সে জানিয়েছে তার পরীক্ষাও ভাল হয়েছে। '

এক দিনের নবজাতককে  মায়ের কাছে রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তানিয়া স্বজনদের বলেন,'এই অনুভূতির কথা জীবনেও ভুলতে পারবনা।আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আধুনিক হাসপাতাল কতৃপক্ষের প্রতি। তারা আমাকে প্রসব পরবর্তী  সময়ে  পাশের একটি কক্ষে পরবর্তী  দিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।

সন্তান জন্ম দেওয়ার একদিন পরেই পরীক্ষা দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমার সন্তান সুস্থ আছে।'

এ ঘটনায় তানিয়ার চিকিৎসক প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. শারমিন আক্তার পপি বলেন, ‘আমরা প্রসূতির স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভর করে তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি।'

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image