
ডেস্ক রিপোর্টার: ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া মানুষের ভিড়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পরিবেশ। দীর্ঘদিন পর কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই হই-হুল্লোড়ে রাঙিয়েছেন গোটা পর্যটন এলাকা। জেলার দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো পর্যটকদের উপস্থিতিতে এখন ঠাসা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। তবে করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে, এ ঈদে তা পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রকৃতি তার নিজ হাতে সাজিয়েছে মৌলভীবাজারের পরিবেশ। যে দিকে চোখ যায় শুধু পাহাড়-টিলা। আর এরই মাঝে সবুজের মহাশান্ত সমাহার। মন ভরে এসব উপভোগ করতেই এবারের ঈদে ভিড় করছেন পর্যটকরা। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া, শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান, একাত্তরের বধ্যভূমি ছাড়াও এ জেলার সবকটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপস্থিতিতে, এক ধরনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিচিত্র গাছ-গাছালি আর বনের মধ্যে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা ও সবুজ গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অভিভূত পর্যটকরা।
পর্যটকরা জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘুরতে যাওয়া হয়নি। প্রায় দুই বছর পর পরিবার নিয়ে বের হয়ে ভালো লাগছে। এতে শিশু-কিশোর সবাই খুশি।
হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা এ ঈদে ভালো ব্যবসা করে তাদের আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী। তারা বলছেন, এভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে তাদের পূর্বের ব্যবসাযয়িক ক্ষতি কাটানো সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে পর্যটন সেবা সংস্থা শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক ও নিসর্গ ইকো কটেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সামছুল হক জানিয়েছেন, ঈদের আগ থেকেই তার এলাকার সবকটি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে যায়। ঈদের তৃতীয় দিনে এসেও অনেক পর্যটক রুম নিতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা পর্যটকদের কোনো সহায়তা দিতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, অনেক পর্যটক বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের বারান্দায় রাতে বসে থাকতে দেখা গেছে।
শ্রীমঙ্গল চামুং, রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ইকো ক্যাফের ম্যানেজার তাপস দাশ জানান, তাদের ব্যবসা এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এত পর্যটকের উপস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
কমলগঞ্জ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশপথের টিকিট বিক্রেতা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন ও পরের দিনে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার দর্শনার্থী শুধু লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করেছে। তারা জানিয়েছেন, ঈদের টানা ছুটিতে কম করে হলেও ১২ থেকে ১৩ হাজার দর্শনার্থী লাউয়াছড়ায় প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সতর্ক রয়েছে জেলার টুরিস্ট পুলিশ। টুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান জানান, পর্যটন স্পট থেকে শুরু করে হোটেল রিসোর্ট সব জায়গায় তাদের নজর রয়েছে। যাতে পর্যটকদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।
বৈচিত্র্যময় হাওড় পাহাড়-টিলা মিলিয়ে দুই শতাধিক পর্যটন স্পট রয়েছে এ জেলায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: