• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডেঙ্গু রোগী ১০ জেলায় বেশি  


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৭ এএম
১০ জেলায় বেশি  
ডেঙ্গু রোগী

নিউজ ডেস্ক : দেশের ১০ জেলায় চলতি বছর ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত মানুষ, মৃত্যুর ঘটনাও বেশি । এসব জেলায় নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে । জেলাগুলো ‘ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । তারা বলছেন, ওই ১০ জেলায় সিটি করপোরেশন বা পৌর কর্তৃপক্ষের মশা নিধন কার্যক্রম না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । এদিকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৩১ জন, যার ৩৮ শতাংশ ওই ১০ জেলায় ।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ঢাকায়, ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ চট্টগ্রামে, ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বরিশালে, ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পটুয়াখালীতে, ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ ফরিদপুরে, ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ চাঁদপুরে, ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ লক্ষ্মীপুরে, ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পিরোজপুরে এবং ১ দশমিক ৬০ শতাংশ ময়মনসিংহে শনাক্ত হয় ।   জেলা ১০টি হলো – ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এসব এলাকায় বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি । থেমে থেমে বৃষ্টি হাওয়ার কারণে পানি জমে তাতে এডিস মশার লার্ভা তৈরি হয়েছে, যা ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়াচ্ছে । এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি এই ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ।  

এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি ঢাকার পর চট্টগ্রামে । চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ এবার এখানে ডেঙ্গু রোগী বেশি মিলছে । ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা চলমান । রোগী অনুযায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে । ’ বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, ‘ বছরের শুরুতে যেসব ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি, তাদের অধিকাংশের ঢাকায় ভ্রমণের ইতিহাস ছিল । পরে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে । কীটতত্ত্ববিদরা বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন । মশার লার্ভা শনাক্তের কাজ চলছে । ’ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।  

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের( নিপসম) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘ ২০১৯ সালের আগে ডেঙ্গু ঢাকার বাইরে ছিল না । কিন্তু এবার কোনো জেলা বাকি নেই । ঢাকার বাইরে এডিস মশার অ্যালবোপিকটাসের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি ।   আমরা এখনও কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক চিন্তা করছি । গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও জটিল । আমরা যেসব প্রচারণা চালাচ্ছি তা ঢাকার এডিসের ইজিপ্টি প্রজাতিকে ঘিরে । এটি অল্প ও পরিষ্কার পানিতে, ফুলের টবে জন্মালেও অ্যালবোপিকটাস জন্মায় কলাগাছের ভেতরে । ঢাকার বাইরে গুরুত্ব বেশি দিতে হবে । ’  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘ ঢাকার বাইরেও নগরায়ণ হচ্ছে । জেলা- উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু নিধনে কার্যক্রম তেমন নেই । যে কারণে এসব জেলাতে বেশি রোগী মিলছে । ’  

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের( আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, ‘ দেশের যেসব জেলায় আক্রান্ত একশর বেশি সেগুলোকে মূলত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা যাতে ওইসব এলাকায় সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পারে সে উদ্দেশ্যেই এই টালি করা হয় । ’  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ ওই ১০ জেলায় হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । ডেঙ্গু চিকিৎসায় বড় ইস্যু এটি ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট, পর্যান্ত কিট, স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখতেও বলা হয়েছে । এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image