নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার শুরু হচ্ছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানে শুরু হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। শীত উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই ইজতেমা মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিদের আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর ময়দান। ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ইজতেমা উপলক্ষে ১৬৫ একর জমিতে শামিয়ানা টানিয়ে মুসল্লিদের অবস্থানের জায়গা করা হয়েছে। তাঁদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে বিদেশি মুসল্লিদের কামরার পাশে করা হয়েছে মূল মঞ্চ। সেখানে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মাওলানা রবিউল হক ইমান ও আমলের বয়ান করেন। করোনা মহামারি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই বছর হয়নি ইজতেমা। এবার মুসল্লিদের জমায়েতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক ময়দানে তিন দিন সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান, ইবাদত-বন্দেগিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনামূলক বয়ান দেন। তাঁর এ বয়ান তাৎক্ষণিকভাবে ইংরেজি, আরবি, ফার্সিসহ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হয়। এভাবে প্রত্যেক দিন ইমান, আমল, আখলাখসহ তাবলিগের ছয় মূলনীতির ওপর শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান ভাষান্তর করে শোনানো হবে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, প্রথম পর্বে আগত মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে ৯২ খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক খিত্তায় একজন করে জিম্মাদার আছেন। আগতরা খিত্তার জিম্মাদার থেকে সব ধরনের পরামর্শ নেবেন।
ইজতেমা ময়দানে মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা মুফতি জহির মুসলিম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি ময়দানে এসেছেন। শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তম জুমার নামাজের জামাত হবে। জুমার নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা জোবায়ের।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: