নিউজ ডেস্ক : আরও দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রাজধানীর রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার করা গ্রেফতার ও জামিন বিষয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে রোববার (২১ জানুয়ারি) এ শুনানি হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রমনা থানার দুটি ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আমীর খসরুর জামিন পান। এ নিয়ে মোট ৬ মামলায় জামিন পেয়েছেন খসরু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমীর খসরুর বিরুদ্ধে করা ১০ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। বাকি চার মামলায় জামিন পেলে তার কারামুক্তিতে বাধা থাকবে না।
পরে আরও চার মামলায় শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
তার আইনজীবীরা বলেন, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পল্টন মডেল থানার আলাদা দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮ মামলায় বিএনপির এ নেতার জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বিএনপির এ নেতার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, ২ নভেম্বর আমীর খসরুকে গ্রেফতার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাছিল না পুলিশ। সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদনগুলো নিয়ে রেখে দেন। নিষ্পত্তি না করে। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এরপর হাইকোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে ঢাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা ও ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা করা হয়। দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: