• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডেঙ্গু বাড়ার সুযোগে ফার্মেসিতে স্যালাইন ফাঁদ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৬ এএম
ডেঙ্গু বাড়ার সুযোগে ফার্মেসিতে
স্যালাইন

নিউজ ডেস্ক : দেশজুড়ে ডেঙ্গুরোগী বাড়ায় আইভি ফ্লুইড স্যালাইনের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক ফার্মেসিতে ৮০ টাকার স্যালাইন ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে ফার্মেসিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। অনেকে আবার ৮০ টাকার স্যালাইন ২২০ টাকায় কিনে ৮০ টাকায়ই বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে তারা অন্য সরঞ্জাম বিক্রিতে বেশি লাভ করে স্যালাইনের লোকশান পুষিয়ে নিচ্ছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। 

বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, লিব্রা ইনফিউশন, পপুলার ফার্মা, অপসো স্যালাইনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো স্যালাইন উৎপাদন করে থাকে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ করছে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডায় সাধারণ ফার্মেসিতে আইভি ফ্লুইড স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষই স্যালাইন কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পেলেও দিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তবে হাসপাতালের ফার্মেসিতে স্যালাইনের সরবরাহ কম থাকলেও নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফার্মেসিতে স্যালাইন কিনতে আসা তানভীর চৌধুরী জানান, তার ছোট ভাই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে। আগের তুলনায় সুস্থ। প্লাটিলেট আগের তুলনায় বাড়ছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে স্যালাইন দিতে হচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও আশপাশের ফার্মেসিতে স্যালাইন পাওয়া যায়নি। অনেক ঘুরে হাসপাতালের এক ফার্মেসিতে স্যালাইন পেয়েছি।

আব্দুল্লাহ ফার্মার স্বত্বাধিকারী মো. সবুজ উদ্দীন বলেন, কোম্পানিগুলো সরবরাহ করতে পারছে না। চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত জোগান নেই। অনেক সময় ইমারজেন্সি রোগীদের জন্য অনেক চেষ্টার পর এক-দুই ব্যাগ স্যালাইন কোনোরকমভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে ২০ জনেরও বেশি ডেঙ্গুরোগী সেখানে ভর্তি। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ঠিকমতো স্যালাইন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে কি না জানতে চাইলে হাসপাতালের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কোম্পানিগুলো থেকে পেয়ে থাকি। কম পেলেও হাসপাতালে রোগীদের জন্য সংকট নেই। আমরা নির্ধারিত দামেই কোম্পানি থেকে নিচ্ছি।

মিরপুর ও মহাখালী এলাকার ফার্মেসিতেও স্যালাইন সংকট পাওয়া গেছে। মিরপুরের আলোক হাসপাতালের পাশে অবস্থিত একটি ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে ৫টি স্যালাইন আছে। দোকান কর্মচারী জানান, আমরা অনেক চেষ্টা করে কোম্পানির কাছ থেকে এক কার্টন স্যালাইন কিনতে পেরেছি। তা দিয়েই চলছি। ৮০ টাকার স্যালাইন কিনেছি ২২০ টাকা করে।

জানা গেছে, ঐ ফার্মেসি ৮০ টাকার স্যালাইন ২২০ টাকায় কিনছে। আবার বিক্রি করছে সরকার নির্ধারিত দর ৮০ টাকায়। এক্ষেত্রে তারা লোকশানে বিক্রি করছে। কিন্তু অন্য সরঞ্জাম বিক্রির মধ্যে এই লোকশান তারা পুষিয়ে নিচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফার্মেসি কর্মচারী বলেন, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে বেশি দামে স্যালাইন সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করছে। অনেক কোম্পানি ফার্মেসিতে স্যালাইন না দিয়ে হাসপাতালে দিচ্ছে। কারণ, সেখানে ক্রিটিকাল রোগী ভর্তি থাকে। তাদের জন্য এ স্যালাইন বেশি জরুরি।  

ঢামেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে স্যালাইন সংকট নেই। ভর্তি রোগীরা ঠিকমতো স্যালাইন পাচ্ছেন। ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্যালাইন সংগ্রহ করে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আশরাফ উদ্দিন এব্যাপারে বলেন, স্যালাইন সংকট হওয়ার কথা নয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অভিযান চলছে। যারা এমনটি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image