ফারজানা মৃদুলা
নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সুবুদ্ধি দিয়ে সমাজে সম্মানজনক অবস্থানে জায়গা করে নিতে পারে তা এখন প্রমানিত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই।
নারী আজ স্বয়ংসিদ্ধা হলেও কিন্তু লড়াই করে নিজের পথ সুগম করে চলছে তারই এক দৃষ্টান্তের নাম কুমকুম ফকির।
বাবার মরহুম মোহাম্মদ এম আই ফকির মা মরহুমা রওশনারা খানম এই দম্পতির ঘর আলো করে আসা কুমকুম তার নামের অর্থের মতই তার পরিবারের কপালে ভালোবাসার টিপ হয়ে থাকত।
ছোট থেকেই নিজের ভেতর তীব্র ইচ্ছেটা জাগ্রত হয় সমাজের জন্য কিছু করার এবং সেই করাটা করতে হবে ভালোবাসা থেকে, কেননা এই গল্পের নায়িকা কুমকুম মনে করে ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় অনেক কিছু।
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লার লেখা তার আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে থাকে সবসময়ই,
প্রিয় কবিতা চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় এর
আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র
সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর
আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা
তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়!
বিদায়ের সেহনাই বাজে
নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে
সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে.....
এই লাইনগুলো যেন আরো বাস্তবতা চিনাতে সহযোগী ভূমিকা রাখে।
নীল আর লাল রঙের প্রেমে পড়া হয় সবসময়ই।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় বাংলার প্রকৃতি ও জীবন হেমন্তের সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। তাই ঋতুরানী হেমন্ত ভালোবাসে কুমকুম, নিজের মনকে হেমন্তের শিউলির মত কোমল রাখতে চায়।
১৯৯২ সালে জীবনের নতুন গল্প শুরু হয় জীবনসঙ্গী স্বামী প্রফেসর ডা: আফতাব উদ্দিন আহমেদ এর সাথে।
ক্ষুদ্র উদ্দোক্তাদের সহযোগী বন্ধু হবার বাসনা যদিও বহু আগে থেকেই কিন্তু তার প্রকাশ হয় ২০২০ সালে ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্দোক্তা সংগঠন এর মাধ্যমে।
২০১৯ সালে নিজের একান্ত পরিচয় গড়তে কুমকুম উইস এর যাত্রা শুরু। সেখানে কিন্তু বেশ কিছু কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছে কুমকুম।
চলার পথে বহু রকমের মানুষ দেখেছেন,
এবং সেই দেখা গুলো তার জন্য শিক্ষনীয় একটা বিষয় ছিলো বলে মনে করে। সাথে এটাও রপ্ত করেছে শেখার কোন শেষ নেই।
ব্যাক্তি জীবনে শিক্ষকতা সাথে জড়িত থাকার সুযোগ হয় এবং সেই পেশাটা খুব টানতো তাকে, কেননা কোমলমতি শিশুদের মাঝে খুঁজে ফিরতো নিজের ছোটবেলা।
পথশিশুদের নিয়ে বেশ কিছু ভালো সময় কাটানো হয়েছে জীবনে
সাধ্যমত তাদের শিক্ষা উপকরণ দিয়ে পাশে থেকেছে।
২০২৪ এসে আজো এই গল্পের নায়িকা কুমকুম নিজেকে আবিষ্কার করতে চায় প্রতিনিয়ত চায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে তার সেই সংগঠনের সহযোদ্ধাদের নিয়ে।
নিজেকে কখনো পাখি ভাবতে ইচ্ছে হয় একটু পরেই আবার ভাবে না যদি নীল আকাশ হতাম!
আর মনে মনে হাসে গুনগুন করে গাইতে থাকে আমি কত যে তোমায় ভালোবেসেছি.....
পরিশেষে বলে নারী কখনো হয় কন্যা, কখনো জায়া, আবার কখনো হোন জননী। নারীর যেন ত্রিভূবনজয়ী সত্তা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: