নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাইয়ের মধ্যে পোশাক আমদানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল ডেটা সোর্স ‘অফিস অব টেক্সটাইলস এবং অ্যাপারেল (অটেক্সা)’।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য জানান।
অটেক্সার মতে, ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের আমদানি ৩৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে।
জানুয়ারি-জুলাইয়ে চীন থেকে আমদানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪০ শতাংশ। চীন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস। এই সময়ে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি হয়েছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, আমদানি পৌঁছেছে ১০ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অন্যান্য শীর্ষ দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি একই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূলত, করেনা মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে, মুল্যস্ফীতি, ফেডের হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়। অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারণে শীতের পোশাক চাহিদাও তুলনামূলক কম।
লক্ষণীয় যে বাংলাদেশের মোট পোশাক রফতানি আগস্ট-২০২২ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল, ফলে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে পারে এবং পরে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা সতর্ক অবস্থানে আছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: