নিউজ ডেস্ক: প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হলেও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাতার হার রয়েছে আগের অঙ্কে।
সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা প্রস্তাব করেন (মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ০৬ শতাংশ), যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এ খাতে উপকারভোগী বাড়বে প্রায় ২০ লাখ।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫ কোটি মানুষের জন্য বছরব্যাপী নগদ ভাতা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও সুলভ মূল্যে খাদ্য সরবরাহে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
বয়স্ক ও বিধবা ভাতা আগের মতো ৬০০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে বাজেটে নতুন ২ লাখ বয়স্ক ও বিধবাকে যুক্ত করে মোট ৬০ লাখ মানুষকে ভাতা সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতাভোগী বেড়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০। ফলে এ খাতে মোট ২৭ লাখ ৭৫ হাজার সুবিধাভোগী আগের মতোই ৫৫০ টাকা করে ভাতা পাবেন।
২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ জন বেড়ে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ভাতা পাবেন মোট ১৫ লাখ ৬৪ হাজার জন। ৩ লাখ ৩৪ জন বাড়ানোর প্রস্তাবে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী দাঁড়াবে ৩২ লাখ ৩৪ হাজার জন। এ ছাড়া হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ১২ হাজার ২২৯ জন ভিড়ছে ভাতা সুবিধায়। সব মিলে এ খাতে আগামী অর্থবছরে বর্তমান হারে ভাতা পাবেন মোট ৭৭ হাজার ২২৯ জন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের স্বার্থ এবং অধিকার সুরক্ষায় সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাজেটে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তি ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৯৩ শতাংশের বেশি ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি (সরকার টু উপকারভোগী) পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচিও এ পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: