
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধরত ওয়াগনার গ্রুপকে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে বর্তমানে এ গোষ্ঠীর প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াগনার গ্রুপের নেতা হচ্ছেন ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মিত্র।
কারবি বলেন, গ্রুপটির যোদ্ধাদের ৮০ শতাংশই নেয়া হয়েছে কারাবন্দীদের মধ্যে থেকে। এই ওয়াগনার গ্রুপকে ‘বিভিন্ন দেশে সক্রিয় একটি অপরাধী সংগঠন’ বলে ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। আগামী সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস এই গ্রুপ এবং তার সহযোগী নেটওয়ার্কগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চেচনিয়ায় যুদ্ধ করা একজন রুশ সেনা কর্মকর্তা দিমিত্রি উটকিন সম্ভবত এই বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে বর্তমানে এর প্রধান হচ্ছে ধনী ব্যবসায়ী ইয়েভগেনি প্রিগোশিন– যাকে পুতিনের রাঁধুনী বলা হয় কারণ একসময় তিনি ক্রেমলিনের জন্য খাবার সরবরাহ করতেন। ক্রাইমিয়া দখলের জন্য রাশিয়ার ২০১৪ সালের যুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা প্রথম ভুমিকা পালন করে। এর পর ২০১৫ সালে সিরিয়াতে সরকারসমর্থক বাহিনীর পাশাপাশি থেকে যুদ্ধ করে ওয়াগনার বাহিনী, এবং সেসময় তারা তেলের খনিগুলোও পাহারা দিত। অতীতে এই ওয়াগনার গ্রুপ সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কিছু দেশে তপর ছিল। সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুট ও সোলেডার শহর দখলের লড়াইয়ে ওয়াগনার গ্রুপ বড় ভুমিকার পালন করে। তা ছাড়া ওয়াগনার বাহিনী ভাড়াটি সৈন্যরা লিবিয়ায় জেনারেল খলিফা হাফতারের সহযোগী হিসেবে, এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে হীরার খনি পাহারা দিতে কাজ করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: