আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহর ছেড়ে চলে গেছেন ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রুশ কর্তৃপক্ষ এবং ওয়াগনারের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৪ জুন) রাতে তিনি নিরাপদে শহরটি ত্যাগ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রোস্তভ-অন-ডন শহরের জেলা সামরিক সদরদফতর ছেড়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেছেন। এ সময় রোস্তভ শহরে প্রিগোজিনকে সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেছে।
এর আগে বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে সন্ধি হয়েছে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনী এবং রুশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ যেসব শর্তে ওয়াগনারের সঙ্গে সন্ধি হয়েছে রাশিয়ার সেগুলো তুলে ধরেন।
পেসকভ বলেছেন, ক্যাটারিং সেবা দিয়ে বড়লোক হয়ে যাওয়া এই ধনকুবের বেলারুশ চলে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহী সদস্যদেরও কোনো বিচার হবে না। বিশেষ করে, ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের বিষয়টি আমলে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সবসময়ই তাদের (ওয়াগনার) অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি আরও জানান, ওয়াগনারের যেসব সেনা এবং ইউনিট বিদ্রোহে অংশ নেয়নি তারা আবারও রুশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ পাবে।
শনিবার শুরু হওয়া এই বিদ্রোহ অবশেষে বাতিল হয় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায়। তিনি ওয়াগনারকে সন্ধির জন্য রাজি করান।
ওয়াগনার বাহিনীর এই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ভাড়াটে বাহিনীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ অভিহিত করে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। শনিবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণ দেন পুতিন। ভাষণে ওয়াগনার বাহিনী ও এর কমান্ডারের তৎপরতাকে ‘পিঠে ছুরি মারা’র শামিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। কারো কারো উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের গভীর রাষ্ট্রদ্রোহিতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার (২৪ জুন) বিবিসির প্রতিবেদন মতে, বাহিনী এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন শহরের সামরিক দফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এছাড়া ভরোনেঝ নামে আরেকটি শহরের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা দখল করেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: