
ডেস্ক রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গভবন সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হজে যাওয়ার আগে এই প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন। বর্তমানে যা আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়েছে রাজশাহী জেলা কারাগারে।
রাষ্ট্রপতির এই প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচের পর এই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা নেই। গত ২ মার্চ এই দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন সর্বোচ্চ আদালত।
নিম্ন আদালতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তাই বহাল থাকে আপিলে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া আর কোনো পথই খোলা ছিল না তাদের। তবে এরপরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দণ্ডিত এই দুইজনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে গত ৭ মে ফের রিট আবেদন করেন তাদের স্বজনরা। যদিও উত্থাপিত হয়নি মর্মে পরবর্তীতে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্ল্যার হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্ট রিট আবেদনটি করেছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্ত্রী ইসরাত রহমান এবং ফাঁসির দণ্ড পাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মিজানুর রহমান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি বর্তমানে রাজশাহী কারাগারে আটক আছেন।
গত ২ মার্চ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ঐ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এতে আসামিদের দণ্ড কার্যকরে ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ব্যতীত’ আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এখন রাষ্ট্রপতি যদি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর যেকোনো দিন হতে পারে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এর শুনানি শেষে আদেশের জন্য গত ২ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বেঞ্চ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: