• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবিকাঠি : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৩ পিএম
ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবিকাঠি
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

নিউজ ডেস্ক : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবিকাঠি। যথাযথভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, কৃষিকাজ, শিল্পখাত বিবেচনায় রেখে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানি চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। 

প্রতিমন্ত্রী ১১ জুন রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘Portrait of Bangladesh Delta Plan 2100 and Implementation Outlooks’ এবং ‘Towards a holistic appraisal of BDP 2100’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম শতবর্ষ মহাপরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০’ অনুমোদন করেছেন। এ প্ল্যানের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্রতা নির্মূল ও মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ এর ৬টি অভীষ্ট অর্জনে flexible and adaptive approach অনুসরণ করে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনও ভূমিকা না থাকা সত্ত্বেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার পানি অবকাঠামো সংস্কার, নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে নদী তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাবদ্ধতা দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত আছে। শতবর্ষের এ মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময়ে ৮০টি প্রকল্পের আওতায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিনিয়োগের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরা প্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আরেক বন্যা প্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, ও মোহনা অঞ্চল এবং নগরাঞ্চল- এ রকম মোট ৬টি স্পট নির্ধারণ  করা হয়েছে। এই মহাপরিকল্পনার প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। মহাপরিকল্পনায় বিনিয়োগ অগ্রাধিকার হিসাবে Investment Plan-এ মোট ৮০টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে তন্মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প।  

পানি সম্পদ মান্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image