
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল ২ আসনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
উজিরপুর উপজেলা ও বানারীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল ২ আসন (জাতীয় সংসদের ১২০নং আসন)।
১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদ নির্বাচনের সময় গঠিত হয় এ আসন।
২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত সরকারের সময়, সংসদীয় আসন পুর্নবিন্যাসে পিরোজপুর থেকে কেটে বরিশাল জেলার সঙ্গে বানারীপাড়াকে সংযুক্তি করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শেরে বাংলার নাতি ফাইয়াজুল হক রাজু।
এককালে সর্বভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ অঞ্চলের মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও মুক্তি সংগ্রাম শেরে বাংলা করেছিলেন এখান থেকে। ফাইয়াজুল হক রাজু’র দাদা শেরে বাংলা ছিলেন উপমহাদেশ জুড়ে। তার বাবা একে ফায়জুল হক ছিলেন এই আসনের চার বারের এমপি ও মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ফাইয়াজুল হক রাজুর পারিবারিক ধারাবাহিকতায় ছিলো গণমানুষের মুক্তি ও সংগ্রাম। ছিলেন আগের কমিটির সহ সম্পাদক। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল, নটরডেম কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রাক্তন ছাত্র ফাইয়াজুল হক রাজু রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও আইন বিষয় নিয়ে অধ্যায়ন করেছেন। রাজুকে গত ১৫ বছর অবশ্য গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে থিংক ট্যাংক হিসেবে এবং তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বিচক্ষণতা তাকে সমাদৃত করছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
১/১১ প্রেক্ষাপটে রাজপথে রাজুর ভূমিকা আওয়ামী লীগের সর্বমহলে প্রশংসিত। রাজু বলেন, একথা বলা যায়, ‘উপমহাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও মুক্তি সংগ্রামে আমার পরিবার যুক্ত আছে এক শতাব্দিরও বেশি সময় ধরে’।
নিজের রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে রাজু বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত। শেরে বাংলার নাতি বলে বিএনপি জামাত ছেড়ে কথা বলেনি, পোহাতে হয়েছে সে যন্ত্রণা। সেনা সমর্থিত সরকারের চাপ টলাতে পারেনি এক বিন্দু। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার সঙ্গে আছি শেরে বাংলার আদর্শিক প্রজ্ঞা নিয়ে, আর মননে রেখেছি বঙ্গবন্ধুকে।
তিনি বলেন, দলকে প্রধান্য দিয়েছে সবকিছুর আগে, ৯১ থেকে ২০২৩ কেন্দ্র যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি।
দাদা, বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক ভূমিকার বাইরেও বানারীপাড়া উজিরপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগে তার স্বচ্ছ রাজনীতি সমাদৃত। শেরে বাংলার নাতির প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের দলমত নির্বিশেষে এক ভিন্ন আবেগ আছে জানেন রাজু। তিনি বলেন, কিছুটা বাড়তি চাপও থাকে। আমার কোনো কোরাম নেই, ফোরাম নেই, ওই অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি কনার সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক, তাই এসব হয় না আমকে দিয়ে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে রাজু বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের যে যাত্রা তা সাংবিধানিক কাঠামোতে গেলে, তখনই কেবল সবটুকু দিয়ে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সম্ভব। আমার প্রতি মানুষের এত এত প্রত্যাশা থেকে পালানোর পথ নেই। আমার ও আমার অঞ্চলের মানুষের বিশ্বাস, দল এবার তাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিবে।
২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ফাইয়াজুল হক রাজুর নাম শোনা গিয়েছিল। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে আসেন বলে জানা যায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: