নিউজ ডেস্ক: শুধু স্থাবর নয়, অস্থাবর সম্পদ বন্ধক রেখেও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে মধ্যম ও ক্ষুদ্রশিল্প উদ্যোক্তারা সুবিধা পাবেন। তারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগের ভিত্তিটা মজবুত করতে পারবেন। এমন বিধান রেখে 'সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন, ২০২২'-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন, পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২২ খসড়ার নীতিগত, জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি, ২০২১-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইনটি নতুন। ব্যাংক থেকে যেসব ঋণ দেওয়া হয়, সেটার বিপরীতে একটা ইক্যুইটি দিতে হয়, স্থাবর সম্পত্তি কিংবা ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্টও আনা হতো। এখন অস্থাবর সম্পত্তিকে ইক্যুইটি হিসেবে দেওয়ার জন্য একটা প্রস্তাব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আনা হয়েছে। এটিই মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতেও ঋণ নেওয়া যাবে। তবে এটি শুধু মাঝারি মানের ঋণের ক্ষেত্রে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২২-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চাকরিরত অবস্থায় প্রাথমিকের একজন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো সন্তান থাকলে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু থাকলে ও তৃতীয় লিঙ্গের কোনো শিশু থাকলে তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: