• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মেসি-মার্তিনেজ-স্কালোনি ফিফা সেরা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৯ এএম
স্প্যানিশ ছাড়া অন্য কোনো ভাষা তাঁর জানা নেই
ফিফা সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

নিউজ ডেস্ক:  ফিফা ‘বেস্ট’ পুরস্কারের রাতটি ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্য। মেসির হাতে ট্রফি তাতে সেরা সংযোজন। প্যারিসে ফিফার ‘বেস্ট অ্যাওয়ার্ডস’ দেওয়া হয়েছে মোট আটটি ক্যাটাগরিতে। সে হিসেবে একাই চার ‘গোল’ দিয়েছে আর্জেন্টিনা।

কীভাবে? খুলে বলা যাক। বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়, বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী কোচ, বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী গোলকিপার এবং বর্ষসেরা গোল ও সেরা ফ্যান, এই ৮ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। আর্জেন্টিনার ঝুলিতে উঠেছে ৪টি ট্রফি। এর মধ্যে পুরুষদের সেরা তিনটি পুরস্কারই আর্জেন্টিনার। সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি, সেরা কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া সঙ্গে বসে চুক্তি নবায়নের কাজ সেরেছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্ব নিশ্চিত করে ফিফার মঞ্চে উঠেছেন পুরস্কার নিতে। আর্জেন্টিনাকে গত ডিসেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ জেতানোর সুবাদে পুরুষদের ‘বেস্ট’ কোচ পুরস্কার জিতেছেন স্কালোনি। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে পেছনে ফেলে ট্রফিটি জেতেন ৪৪ বছর বয়সী এ কোচ।

২০১৬ সালে এই স্কালোনিই মেসিকে আর্জেন্টিনার জাতীয় দল থেকে অবসর না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ৭ বছর পর সেই মেসিকে সঙ্গে নিয়েই স্কালোনি দাঁড়িয়ে বিজয় মঞ্চে। অবশ্য মঞ্চে আগে স্কালোনিই আগে উঠেছিলেন।  ফিফা ‘ফ্যান অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন আর্জেন্টিনার ভক্তরা। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পুরস্কারটি নিয়েছেন ৮২ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কার্লোস পাসকুয়াল। ড্রাম ও আর্জেন্টিনার জার্সি পরে মঞ্চে উঠেছিলেন ১৯৭৪ থেকে কোনো বিশ্বকাপ মিস না করা এই সমর্থক। আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম   ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে পাসকুয়াল উড়োজাহাজ, ট্রেন ও জাহাজে করে এক ডজনেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। স্প্যানিশ ছাড়া অন্য কোনো ভাষা তাঁর জানা নেই।

 ফিফা ‘বেস্ট’ পুরস্কারে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই! ‘খুব ভালো লাগছে, কারণ আমরা সব পুরস্কার জিতেছি’, এটা পাসকুয়ালের বলা প্রথম কথা, তখনও মেসির হাতে সেরার পুরস্কার ওঠেনি। পাসকুয়াল কতটা আত্মবিশ্বাসী!

সত্যিকার অর্থে, মেসির হাতে এবার ‘বেস্ট’ ট্রফি ওঠা নিয়ে আর্জেন্টিনার সব সমর্থকই এমন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে এর চেয়ে বেশি আর কী করা সম্ভব! নিজে ৭ গোল করার পাশাপাশি ৩ সতীর্থদের দিয়ে ৩ গোল করিয়েছেন। জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।স্কালোনিকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন। স্মরণ করেছেন পরিবার ও সন্তানদের। পাসকুয়েলের কি তখন মনে পড়েছে সেই অদৃশ্য ‘রাস্তা’টি, মারিও কেম্পেস থেকে লিওনেল মেসি!

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image