• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:০৭ পিএম
বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার
কারিগরি শিক্ষা

অভিরাজ নাথ

কারিগরি শিক্ষা এমন এক ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা, যা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীরা ঘরে-বাইরে, ক্ষেতে-খামারে, কলকারখানায় যে কোনো কাজ বা পেশায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা লাভ করে। কারিগরি শিক্ষার ধারণা মূলত পেশাগত কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির ফলে কর্মসংস্থানের ধারণা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। তাই সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষাই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে হাতে-কলমে শিখে পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা যাতে অর্থোপার্জন করতে পারে।

সমগ্র পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, সে দেশ তত শিল্পোন্নত। কারিগরি শিক্ষা না থাকলে জনশক্তিকে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কারণ বর্তমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে জনশক্তিকে শিল্পবান্ধব জনশক্তিতে রূপান্তরের বিকল্প নেই। উপযুক্ত ও কর্মমুখী শিক্ষা না থাকলে কোনো দেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা যায় না। একইভাবে প্রচুর জনশক্তি থাকলেও কারিগরি প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই বিপুল সংখ্যক জনশক্তিকে উপযুক্ত কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করতে পারলে সে রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।

আমাদের দেশের শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশের উন্নয়নে ও বিদেশে উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরা চাকরির পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট শিল্পের প্রসার ঘটাতে পারে, যা পরে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

দেশের এক-তৃতীয়াংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্পতম সময়ে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শ্রমবাজারের মূল স্রোতে নিয়ে আসা সম্ভব। আমাদের দেশের জনশক্তির একটি বড় অংশ বয়সে তরুণ। তাদের কাজে লাগাতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিদেশগামী অধিকাংশই অনভিজ্ঞ থাকে। এতে তারা নিম্ন বেতনে কাজ করে। এই অভিবাসী শ্রমিকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকার আয়-উন্নতির ব্যাপক পরিবর্তন করা সম্ভব। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হলো অভিবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণ। একে আমরা কয়েক গুণ বাড়াতে পারি শুধু দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে। এতে আমাদের দেশের ও অভিবাসী শ্রমিকদের আয় বহুগুণে বেড়ে যাবে।

 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image