ফারজানা মৃদুলা
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে"
আজ যে চরিত্র তুলে ধরছি সেই মানুষ টিও নিজের ঘর সংসার সামলে অপরাজিতা হয়ে ছুটে চলছে।
মিতি নেওয়াজ।
মুসা কাজিম ও আকলিমা কাজিম দম্পতির ৩ সন্তানের মাঝে মেজো আজ এই গল্পের নায়িকা। রংপুরে বেড়ে উঠা মিতি ছোটবেলা থেকেই বেশ ঠান্ডা মেজাজী ছিলো।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে নারী পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বর্তমান সমাজে নারী সেকালের বৃত্তের মধ্যে বন্দি নেই। আত্মবিশ্বাসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সেই কথাগুলোকে মনে ধারন করে ২০১৬ থেকে মিতি তার উদ্যোগ কে নিয়ে পথ চলা শুরু করছে।
নিজের কাজকে ভালো লাগে, মানুষের ভালো লাগার জিনিস সবসময়ই আকাক্ষিত, শুভ্র বেলী ফুল প্রেমী মিতি ও এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম নয়।
শুরুটা যদি বুটিকস্ নিয়ে করা কিন্তু করোনাকালীন সময়টা তে নিজের মনে হলো ভেজালমুক্ত কিছু নিয়ে কাজ করাটা খুব দরকার আর সেই কথার বাস্তবায়ন করতে জীবনসঙ্গী,শাহনেওয়াজ আহমদ সুমন এবং চাচা, শ্বশুর সকলেই উৎসাহ দিয়ে নতুনভাবে জাগ্রত করলো মিতিকে।
ঘি নিয়ে কাজ করার সুবাদে নিজের একটি কারখানা করে এবং কর্মসংস্থান এর সুযোগ সৃষ্টি হয় তার এই সিদ্ধান্ত থেকে। সেই মিতি আজ হয়ে উঠেছে ঘি কন্যা! রবিঠাকুরের
কালজয়ী সে গানটা তে "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহৃ এই বাটে..."
খুব আবেগাপ্লুত করে তাকে আর ভাবে নিজের ভালো কর্মের মাধ্যমে এমন কিছু রেখে যাবো যাতে চলে যাবার পরও সকলের মনে জায়গা রয়।
২০২০ অপরাজিতা নামক একটি সংগঠন এর জননী হয়ে উঠে মিতি। উদ্দেশ্য এই যে নারীরা তাদের না বলা কথাগুলো যাতে মনের মাধুরি মিশিয়ে প্রকাশ করে।
আর পাশাপাশি ইচ্ছে নামক একটি মার্কেট প্লেস করার, সেই আকাশে ঘুড়ি উড়বে কিন্তু নাটাই হবে একত্রে মিলিত হাতে।
প্রিয় রং নীল যেমন তেমনি নীল অপরাজিতা গুলো থাকবে এই ইচ্ছের ডালে।
জীবনের প্রাপ্তি বলতে বাবার হাত থেকে কাজের সম্মাননা পাওয়া কেননা বাবাই মিতির আইডল।
"যতদিন বেঁচে আছি আকাশ চলিয়া গেছে কোথায় আকাশে
অপরাজিতার মতো নীল হয়ে-আরো নীল-আরো নীল হয়ে
আমি যে দেখিতে চাই;"কবি জীবনানন্দ দাশের এই লাইনগুলোর মতই নীল থেকে আরো নীল হোক মিতির স্বপ্নের অপরাজিতা এই যাত্রায় নিয়েই তৃপ্ত থাকতে চায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: