• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ঢামেকে নবজাতক হারিয়ে নির্বাক বাবা, ২০ ঘন্টার পরও সন্ধান মিলেনি শিশুর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৮ এএম
ঢামেকে, নবজাতক হারিয়ে, নির্বাক বাবা, ২০ ঘন্টার পরও, সন্ধান মিলেনি শিশুর
সন্তান হারিয়ে নির্বাক বাবা শরিফুল ইসলাম।

মেডিকেল প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) গাইনি বিভাগ থেকে এক কন্যা নবজাতকচুরির ঘটনার প্রায় ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মেলেনি নবজাতকের সন্ধ্যান। 

ঢামেক হাসপাতালের ২১২ নং ওয়ার্ড থেকে সদ‍্য ভূমিষ্ঠ হওয়া যমজ কন্যা নবজাতকের একটি চুরির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম।

বুধবার (০৫ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহ আলম।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি হওয়ার ঘটনায় নবজাতকের বাবা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং এটি নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং সেটি যাচাই-বাছাই চলছে।এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

মঙ্গলবার (০৪ জুন) দুপরের দিকে নবজাতক চুরির ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে,নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামে।বর্তমানে ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুরে ভাড়া থাকেন। সোমবার (৩জুন) রাতে আমার স্ত্রী সুখী আক্তারের প্রসব বেদনা হলে ঢাকা মেডিকেলের ২১২ নম্বর লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। সেখানে গতকাল মঙ্গলবার (৪জুন) সকালে সিজারিয়ান অপারেশনে দুটি জমজ কন্যা সন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী সুখী।একটি ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ও আরেকটির ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ছিল। মেজবাগ (৮) নামে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।জন্মের পর নবজাতক দুটি তদের দাদি ও বাবার কোলে ছিল।

তিনি আরও জানান, বড় ছেলে মেজবাগ এর জ্বর আসলে পাশে থাকা একটি মহিলা বলেন আমার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে আপনি বড় বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন। পরে আমি এক পাতা নাপা নিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি। আমার মাকে জিজ্ঞেস করি বাচ্চা কোথায়। পরে দেখি যে নারীর কাছে আমি বাচ্চা দিয়েছিলাম সেই নারী আর নাই। পরে বিষয়টি আমরা আনসার সদস্যদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই।কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যাচাই-বাছাই শুরু করেন ।এরপর আমি শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করি। ’"আমি একজন সাধারণ মানুষ, লেবারের কাজ করি, আমার সাথে কেন এমন হলো, আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই।এখন পর্যন্ত আমার নবজাতকন্যা শিশুটি উদ্ধার হয়নি"এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি

আরো পড়ুন

banner image
banner image