নিউজ ডেস্ক : প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। তেমনি মেগাসিটি ঢাকার বায়ুমান নিয়েও নেই স্বস্তির খবর। প্রতিনিয়তই খারাপের দিকে যাচ্ছে ঢাকার বাতাস।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী ১৬৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ফলে ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২০৫ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে নেপালের কাঠমান্ডু রয়েছে ১৭৭ স্কোর নিয়ে, তৃতীয় স্থানে ঢাকা, যার স্কোর ১৭২। আবার সেনেগালের ডাকার শহর ১৬৭ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে এবং ১৬২ স্কোর নিয়ে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই আছে পঞ্চম স্থানে।
এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ‘ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার এই তিন দেশের ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণ সম্পর্কে বলেন, জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। আরেকটি বড় কারণ হলো, দূষিত পদার্থের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণ হলো-দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: