• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীর চাপে শিক্ষায় অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৯ এএম
প্রগতিশীল সরকার থাকার পরও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী
ড. মনজুর আহমেদ

নিউজ ডেস্ক:   নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের কতিপয় মানুষ তালেবানদের মতো মনোভাব পোষণ করে বলে মন্তব্য করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে হেফাজতে ইসলাম বেশ কিছু দাবি করেছিল। প্রগতিশীল সরকার থাকার পরও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীর চাপে শিক্ষায় অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে। পরিণতি হিসেবে অনেক সময় আমাদের পিছিয়ে যেতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল করফারেন্স সেন্টারে ‘মেয়েদের ক্ষমতায়নে শিক্ষা ও করণীয়’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন এই সভার আয়োজন করে। সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। মালালা ফান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন মোশাররফ তানসেন।

মনজুর আহমেদ বলেন, সেকুলার ফোর্স সামনে আসতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দরকার। কিন্তু সেটি না থাকার জন্য ধর্মভিত্তিক দলগুলো চাপ প্রয়োগ করতে পারছে। আমরা যতটা না এগিয়ে চলছি, তারা আমাদের পিছিয়ে দিতে পশ্চাৎপদ যাত্রা করতে বাধ্য করছে। এরপরও শিক্ষায় অনেক অগ্রগতি করেছি আমরা। মেয়েরাও ছেলেদের মতই স্কুলে আসছে। এটা নিশ্চয় ভালো খবর। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, সামগ্রিকভাবে শিক্ষায় যে একটা বিভাজন, সেখানে মেয়েরা একটু বেশিই আক্রান্ত।

শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকহীনতা চলছে উল্লেখ করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, মাধ্যমিকে মেয়েরা আসলেও তার অর্ধেকই স্কুলজীবন শেষ করে না।

তিনি বলেন, করোনায় যে দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সেখানে যে ক্ষতি  হয়েছে তা আগে পূরণ করতে হবে। তা না হলে একটি প্রজন্ম ক্ষতির মুখে পড়ছে। ডিজিটালিও বৈষম্যের কারণে পিছিয়ে পড়ছে নারী শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্কুল থেকে এই বৈষম্য শুরু হয়েছে, যা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও প্রকট হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের লক্ষে গণস্বাক্ষরতা অভিযান দেশের ৬ উপজেলায় ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাজ শুরু করেছে, যার অর্থায়ন করেছে সম্প্রতি বাংলাদেশে কাজ শুরু করা মালালা ফান্ড। মালালা ফান্ড স্বপ্ন দেখে বিশ্বের সকল শিশু ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়বে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশে তিনটি লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছে।

মালালা ফান্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোশাররফ তানসেন বলেন, মালালা ফান্ড বিশ্বের ৯টি দেশে কাজ করছে। তবে সম্প্রতি তালেবানদের কারণে আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের চর অঞ্চল, উপকূল, হাওর ও চাবাগান ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ শুরু করেছে। এর বাইরে কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প চলছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, দেশে ২০ লাখ তরুণ প্রতিবছর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার উপযোগী হচ্ছে। এর বিপরীতে ১৩ লাখ চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।

তবে সম্প্রতি কোভিডের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে শিক্ষায় যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তা করোনায় বড় ধাক্কা খেয়েছে। করোনার ১৫ মাসে দেশের ৪০ লাখ শিক্ষার্থী শুধু পড়াশোনায় নয়, শারিরীক ও মানসিকভাবেও আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্কুল (মাধ্যমিক শিক্ষা) বাধ্যতামূলক হলেও আমাদের দেশে এখনও শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image