• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল আন্তর্জাতিকমানের সেবা প্রদান করবে: ভিসি 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:১০ পিএম
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল আন্তর্জাতিকমানের সেবা প্রদান
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ

ষ্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা নিউজের সাংবাদিকসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নজরদারি ছিল এবং বৈশ্বিক সকল অসঙ্গতি যেমন অর্থনৈতিক মন্দা ও যুদ্ধের প্রভাবে নির্মাণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি।২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন।

পেশাগত জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের কেটেছে তার বিএসএমএমইউ চত্বরে। প্রতিষ্ঠানটির চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এমনকি অফথালমোলজিতে ডিপ্লোমা এবং এমএস ডিগ্রি করেছেন একই প্রতিষ্ঠান থেকে যা উপচার্য হিসেবে তাঁর কার্যক্রমকে কিছুটা সহজ করেছে বলে জানান।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২৩ বেশ দীর্ঘ একটা পথ পরিক্রমা বলা যায়। বিএসএমএমইউর সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা দুটোই খুব কাছ থেকে দেখেছি, উপাচার্য হিসেবে প্রথমদিন থেকে সীমাবন্ধতাকে কাটিয়ে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা গবেষণায় উন্নাসিকতা দেখা যায়, এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিকিৎসা গবেষণায় উৎসাহী না করেই উন্নাসিক বলাটা যৌক্তিক হবে না। গবেষণায় আমি নিজেও আগ্রহী, এর মধ্যে ৭৮ জন শিক্ষক ও চিকিৎসকদের গবেষণা অনুদান দিয়েছি। এ ছাড়া ২০২২ থেকে ২০২৩ অর্থ বছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ৪ কোটি টাকা থেকে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা করেছি। এ বাজেট বিএসএমএমইউর কন্ট্রিবিউশন আগামীর জাতি গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারসহ ৮৫০০ মানুষকে সেবা দিতে হচ্ছে। কর্মীদের চাকুরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছি, এখন কর্মস্পৃহা বেড়েছে কয়েক গুণ। সুপার  স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ফুল সার্ভিসে নিয়ে যেতে আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগের অংশ হচ্ছে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবটিক সার্জারি থেকে শুরু করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিয়েটিক, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা নতুন মাইলফলক  হয়েছে। হাসপাতালটি একটি সেন্টার বেইজড হাসপাতাল অর্থাৎ এক ছাতার তলায় সব ধরনের সেবা মিলবে।প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় এটি দেশের একমাত্র পেপারলেস হাসপাতাল।

এত অত্যাধুনিক হাসপাতাল পরিচালনায় দক্ষ কর্মী পাওয়া অন্তরায় হয়ে উঠবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। এসব সেন্টারে ২ বছরের জন্য নিয়োজিত থাকবেন ৬ জন কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ৫০ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ইতোমধ্যে তিন দফায় এদেশীয় ১৭৪ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্টকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image