নিউজ ডেস্ক: রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় সহায়তার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ জোরদার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফরাসি দৈনিক লে পারিসিয়েনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইইউর শিল্পপ্রধান থিয়েরি ব্রেটন রোববার এ কথা বলেছেন।
ব্রেটন বলেন, ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে আমাদের প্রচেষ্টা আমরা জোরদার করছি। এটি খুবই তীব্র একটি যুদ্ধ, যেখানে এসব অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ আগামী ১২ মাস ইউক্রেনকে শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের অঙ্গীকারের বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। ইইউর শিল্পপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েক মাস, এমনকি এর চেয়ে বেশি সময় ধরে এই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ভূখণ্ড উদ্ধারে চলতি মাসের শুরুর দিকে পাল্টা হামলা শুরু করে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার কিয়েভের মিত্রদের প্রতি আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে দৃঢ় মনোভাব দেখানোর আহ্বান জানান।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা রাশিয়া সফর করেছেন। গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। পুতিনকে রামাফোসা বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হবে।
আফ্রিকার শান্তিকামী প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে রামাফোসা এই সফর করছেন। তিনি পুতিনকে বলেন, এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে এবং কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আফ্রিকার সাত নেতার সমন্বয়ে তাঁর প্রতিনিধিদল খুব স্পষ্ট বার্তা নিয়ে এসেছে। সেটা হলো, এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার প্রতিনিধিদলকে বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে পুতিন জানিয়ে দিয়েছেন, কেন তিনি মনে করেন তাঁদের দেওয়া অনেক প্রস্তাবই বিভ্রান্তিকর। এর মধ্য দিয়ে কার্যত এই শান্তি উদ্যোগে জল ঢাললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে গত শুক্রবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রতিনিধিদলটির আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় যুদ্ধ বন্ধে সংলাপের আহ্বান জানান তাঁরা। তবে তাঁদের এই আহ্বান নাকচ করে দেন জেলেনস্কি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: