দিনাজপুর প্রতিনিধি: তীব্র শৈত্যপ্রবাহ যেন পিছু ছাড়ছে না দিনাজপুরের মানুষের। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে মানুষ জুবুথুবু। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলা চল করছে যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষেরা।
দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটানা এত ঠান্ডা এর আগে দেখিনি। মানুষ ঠান্ডায় ভয়ে বাড়ি থেকে বাহির হয় না। এত ঠান্ডাত মানুষ কাজ করাবা চাহে না। গত সপ্তাহে তিন দিন কাম করিবা পাইছি। পরিবার নিয়ে কষ্ট করি চলিবা হছে।
ইজিবাইক চালক আরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েক কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াসা আর বাতাসের কারণে গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডার মধ্যে গাড়িতে যাত্রী উঠছে কম। কামাই কমে গেছে। তারপর আবার বাজারে সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতাল গুলোতে নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়োজ্যেষ্ঠরা।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, একটানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না। পাশাপাশি গরম পানি খাওয়া ও গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ রোববার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: