• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সরোজ মেহেদীর ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’র মোড়ক উন্মোচন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৬ পিএম
বইটির পাণ্ডুলিপি সাজিয়েছেন লেখক
চেনা নগরে অচিন সময় বই এর মোড়ক উন্মোচন

নিউজ ডেস্ক:  গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (জিসিআইএ) অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সরোজ মেহেদীর লেখা ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় তিনি একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে পাঠাভ্যাসের ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ বইটি পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড স্যোশাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুজ্জামান, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কোভিড-১৯ মহামারিকালে ভারতে যাপিত জীবন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে দেখা নানান ঘটনা, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন জীবন ও এসবের ওপর নিজের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বইটির পাণ্ডুলিপি সাজিয়েছেন লেখক।

মোস্তাফিজ কারিগরের নজরকাড়া প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে রাজধানীর শাহবাগের উৎস প্রকাশন। এটি বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬০, ৩৬১, ৩৬২ নম্বর স্টলে মিলবে। এছাড়া শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে উৎস প্রকাশনে, রকমারিসহ অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও পাওয়া যাবে বইটি।

পেশায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হলেও সরোজ মেহেদীর মন-মনন সাহিত্যেই আবিষ্ট। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমি লিখি লেখার প্রতি টান অনুভব করি বলে। তবে নিজের লেখা নিয়ে কোনো দাবি নেই। কেউ পড়লে খুশি, না পড়লেও খুশি। খুব ভালো লেখার প্রতিভা নিয়ে জন্মেছি বলে কখনো মনে হয় না। বাংলা ভাষাটাও ঠিকঠাক জানি তা না। তবে নিজে যা বুঝি, যা অনুভব করি, যা দেখি তা নিজের মতো করে বলার জন্য হলেও লিখতে চাই-এই হলো কথা। আমার কাঁচা হাতের বাংলা তাই আর বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ভেতর থেকে কে যেন বলে- রাখো তোমার দুর্বলতা। লেখো, লেখো। তোমার দুর্বল লেখা থেকে উপাদান নিয়েই হয়ত কেউ একজন মারাত্মক সব সবল লেখা লিখবে। সেই লেখায় তুমি ছায়া হয়ে জাজ্বল্যমান থাকবে।’

‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ প্রসঙ্গে সরোজ মেহেদী বলেন, “শিক্ষার টানে ২০১৯ সালে ভারতের চন্ডিগড়ে যেতে হয়েছিল। সেখানে যাপিত জীবন, এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির হানা, ওই দুঃসময়ে দেশে ফেরার সময় নানা সুখকর-অসুখকর ঘটনার অভিজ্ঞতা লিখতে শুরু করি। সেসব ঘটনা, নিজের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ বইটি।”

এই সাহিত্যিক বলেন, “প্রতিটা পাতায় পাতায় যেন মাতৃত্বের মমতা জড়ানো। যে লেখে কেবল সেই বুঝে ‘লেখক জীবন’ তার ‘ব্যক্তিজীবন’র কতটা শত্রু। লেখার নেশা একজন মানুষকে নানাভাবে তার চারপাশের বিত্ত-বৈভব, বৈষয়িকতায় যোজন যোজন পিছিয়ে দেয়। তবু বেঁচে থাকলে কেবল লিখে যেতে চাই। জীবন নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কোনো উচ্চাশা নেই।”

সাহিত্যিক সরোজ মেহেদী বর্তমানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে সরোজ মেহেদী সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের তুর্কি ভাষা বিভাগে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসেও (বিউপি) খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। 

সাংবাদিকতা ছেড়ে শিক্ষকতাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া সরোজ মেহেদী এখনো বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লেখেন। দেশে-বিদেশে নানা কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সংবাদিকতায় স্নাতক করা মেহেদী তুরস্ক সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে ২০১৪ সালে দেশটিতে পাড়ি জমান। তিনি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স রিসার্চ প্রোগ্রাম ইন ব্যাসিক জার্নালিজমে’ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন।

২০১৯ সালে জার্মানি থেকে তুর্কি  ভাষায় সরোজ মেহেদীর গবেষণা গ্রন্থ ‘পলিটিক্যাল ইউজ অব মিডিয়া ইন সাউথ এশিয়া: বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া পারসপেকটিভ’ প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলা-ইংরেজি-তুর্কি’ ভাষায় একটি পকেট অভিধান লিখেছেন তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image