• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চলমান সংঘাতে সুদানে নিহত বেড়ে ২০০, আহত ১৮০০


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩৯ এএম
নিহত বেড়ে ২০০, আহত ১৮০০
চলমান সংঘাতে সুদান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিন ধরে সামরিক বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা চলছে সুদানে। ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী। 

এরই মধ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ‘জরুরি মানবিক যুদ্ধবিরতি’ পরে আবারো সংঘাত ঘটে দেশটিতে। চলমান সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়। এর মধ্যে সেনা সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে। এছাড়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১৮০০ মানুষ।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সুদানের বহু হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসা সেবা ও খাবারের সরবরাহ কমে গেছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-র মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল বলে পরিচিত সুদানের রাজধানীতে এই লড়াই নজিরবিহীন এবং এমনকি এটি বেশ দীর্ঘায়িতও হতে পারে। যদিও আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে কূটনীতিকরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন।

দুই বাহিনীর মধ্যকার এই সংঘর্ষে বিমান হামলা, আর্টিলারি এবং ভারী গোলাগুলির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

সুদানে জাতিসংঘের মিশনের প্রধান ভলকার পার্থেস রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৫ জন নিহত এবং আরও ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। বৈঠকের পর পার্থেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই অস্পষ্ট। তাই লড়াইয়ের ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে তা বলা খুব কঠিন।’

সুদানের ডাক্তারদের ইউনিয়ন সতর্ক করেছে, লড়াইয়ের কারণে খার্তুম এবং অন্যান্য শহরের একাধিক হাসপাতাল ‘ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু শহরের চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ ‘পরিষেবার বাইরে’ রয়েছে বলেও জানানো হয়।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিল’-এর নামে দেশ পরিচালনা করছিলেন। 

এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image