আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ চরম ক্ষুধার সম্মুখীন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গাজার সমগ্র মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটে রয়েছে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।’
এতে বলা হয়েছে, গাজার ২৬ শতাংশ যা প্রায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ জন লোক, তাদের খাদ্যের যোগান ও ক্ষুধা মোকাবিলার সক্ষমতার শেষ পর্যায়ে। তারা বিপর্যয়কর ক্ষুধা (আইপিসি ফেজ ৫) ও অনাহারের মুখোমুখি।
ডব্লিউএফপি-এর নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, “ডব্লিউএফপি কয়েক সপ্তাহ ধরে এই আসন্ন বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে। দুঃখজনকভাবে, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। এখানকার কেউই অনাহার থেকে সুরক্ষিত নয়। সকলেই চরম ক্ষুধার্ত।
আইপিসি সতর্ক করেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে ।
ডব্লিউএফপি খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাজাবাসীরা তাদের সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করেছে, জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে, বেকারি ধ্বংস হয়ে গেছে, দোকানগুলো খালি ও পরিবারগুলো খাবার পাচ্ছে না।
ডব্লিউএফপি কর্মীদের বলেছিল, তারা প্রায়শই সারাদিন না খেয়ে থাকে এবং অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ক্ষুধার্ত থাকে। বিনিময়ে তারা শিশুদের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করে নিজেরা না খেয়ে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় গুলি চালিয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ৫২ হাজারের বেশি৷
কেরাম শালোম ক্রসিংকে ফিলিস্তিনিরা কারম আবু সালেমও বলে। এটি গাজার একমাত্র বাণিজ্যিক ক্রসিং। গাজায় ৬০ শতাংশের বেশি সহায়তা চলমান সংঘাত শুরুর আগে এই টার্মিনালের মধ্য দিয়ে যেত।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: