ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জেঁকে বসেছে শীত।টানা ৬ দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার সাথে দিনে ও রাতে বইছে হিমেল হাওয়া। এর ফলে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। চরম কষ্টে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা করছে এখানকার কৃষক। বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। দিনের বেলা সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে পরিবহন গুলো।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর বেলায়ও প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন তারা। বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদনদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে রয়েছে শ্রমজীবিরা।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের জনদ্দীর বাজারের আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, প্রায় ৪০ বছর থেকে ফেরি করে ব্যবসা করি। দিন এনে দিন খাই। কোন উপায় না থাকায় এই প্রচন্ড ঠান্ডায় দোকান নিয়ে বের হইছি। বজরের খামারের ফায়ার সার্ভিস এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকায় থাকি ভাই, ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ি এসেছি। প্রচন্ড ঠান্ডা লাঘবে ছেলেগুলো আগুন জ্বালিয়েছে। এতে হাত পা গরম করে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়বো। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রমিক জকু মিয়া ও হুমায়ুন জানিয়েছেন, মানুষজন বিছানা থেকে উঠে নাই আর আমরা জমিতে গোবর সার নিয়ে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কি আর করার কাজ না করলেতো সংসার চলবে না।
গজের কুটি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল সরকার বলেন, ছোট ছোট বচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। এছাড়া বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। যে হারে শীত পড়ছে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা করছি।এছাড়া কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বাহিরে বের হতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও দুই একদিন এমন থাকতে পারে। তবে দুই তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরপর অবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: