নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে থানায় তথ্য না দিয়ে সিভিল পোশাকে এক যুবককে তুলে আনার ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রাম থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৪ থেকে ৫ জন লোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে তুলে আনার অভিযোগ উঠে। আলমগীর একই এলাকার কালামিয়া সর্দারের পুত্র ও পেশায় সে কৃষক।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শাহিদা বেগম গণমাধ্যমকে জানায়, তুলে নেওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর আলমগীরের মোবাইল ফোন থেকে তাকে কল করা হয়। মোবাইল ফোনে যিনি কথা বলছিলেন তিনি তার কাছ থেকে আলমগীরকে ছেড়ে দিতে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। আর ওই টাকা নিয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট-লরেন্স সড়কের পাশে যাওয়ার জন্য বলেন। নিরুপায় হয়ে তিনি স্বামীকে বাঁচাতে টাকা নিয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল যান। তখন পরিচয় জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সোর্সদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম তাকে পুলিশ দাবি করেন। তিনি কমলনগর থানার এএসআই বলে পরিচয় দেন।
রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর একসময় গাঁজা সেবন করতো। তখন তার বিরুদ্ধে ২-১টি মামলা রয়েছে। এখন সে ভালো হয়ে গেছে। আলমগীর কৃষি কাজ করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে এ এস আই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি আলমগীর গাঁজা বিক্রি করে। এতে তাকে আটক করে নিয়ে আসি। এ সময় তার আত্মীয়-স্বজন হামলা করে। একপর্যায়ে তাকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তিনি বলেন, এএসআই আমিনুল থানায় কোনো ধরনের তথ্য না দিয়েই সিভিল পোশাকে একজনকে আটক করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক তাকে সাসপেন্ড করেছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার রামগতি সার্কেল সাইফুল আলম চৌধুরী বলেন, আমি চট্টগ্রাম আছি। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: