আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আগামী শুক্রবারের (২৪ নভেম্বর) আগে কোনও ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে না। ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জাকি হানেগবি এই তথ্য জানিয়েছেন। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বলা হয়েছে, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর গত সপ্তাহে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতার ভিত্তিতে ইসরাইলের কাছে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কাতারে অবস্থানরত হামাসের হাইকমান্ড।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বুধবার (২২ নভেম্বর) এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইল সরকারও। এসব বিবৃতি থেকে যুদ্ধবিরতির কিছু শর্তের কথা জানা গেছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির প্রধান শর্ত- গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরাইল। এছাড়াও হামাসের হাতে বন্দি ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনির মুক্তিও এই চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত; যা আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বহুলপ্রত্যাশিত সাময়িক যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জাকি হানেগবি বলেন, ‘শুক্রবারের আগে কোনো ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে না হামাস।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘হামাসের কাছে বন্দি আমাদের নাগরিকদের মুক্তির আলোচনা এগিয়ে চলছে।’
গাজায় আজ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইলি এই কর্মকর্তার বক্তব্যের পর বিরতি ঠিক কবে থেকে শুরু হবে তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: