অলোক আচার্য
হলুদে ছেয়ে গেছে বেড়ার মাঠ, প্রকৃতিতে যেন বসন্ত লেগেছে। ঋতুচক্রে এখন শীতকাল। মাঝে মধ্যে সকাল আর বিকেল কুয়াশায় প্রতিচ্ছবি একটু হলেও দেখা যাচ্ছে। দূর থেকে হলুদ আভার হাতছানি। চারদিকে যেন হলুদের সমাহার। ঠিক যেন মনে হচ্ছে রূপকথার রাজকুমারীর গায়ে হলুদ। সবাই কনেকে দলবেঁধে হলুদ দিতে এসেছেন প্রজাপতি, মৌমাছি, হলুদিয়া—নীলরঙা পাখি, পোকামাকড়রাও এসেছে দলবেঁধে। দেখে মনে হচ্ছে এ যেন হলুদের মিলনমেলা। সবাই যেন একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে হলুদের উপর। রোদ উঠলেই হলুদেও যেন জ্বলে উঠছে। অবশ্য ঝাঁঝালো ঘ্যাণ থাকলেও শীতে তেমন গন্ধ পাওয়া যায় না। অবশ্য বিজ্ঞানীরা একে বায়ু বিশুদ্ধকরণ ঘ্রাণ বলে বিবেচনা করেন। মেডিকেলের ভাষায় ফুসফুসের উপকার হয় সরিষা ফুলের ঘ্রাণে।
তাই শীতে একেবারে বসে না থেকে দূরে কোনো প্রান্তরে হলুদের সঙ্গে মিশে যান একদিন। সেখানে, সবাই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত । কেউ কারও দিকে তাকানোর সময় নাই। কৃষকরা মহাব্যস্ত, ভ্রমর মধু খুঁজে ফিরছে ফুলে ফুলে। সরিষা ক্ষেতের মাঝে দাঁড়ালে তার ঘ্রাণ আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। আর দিনের বেলায় সরিষা ক্ষেতে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন থাকে। মিষ্টি গন্ধ ভুলিয়ে দিবে শহুরে জীবনযাপনের বিরক্তি। সরিষার ঝাঁজে প্রজাপতিসহ অন্যান্য পোকামাকড় তাদেরও উপকার মেলে। অনেক দূর উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানোর পর সরিষার মাদকতা তাদের আকৃষ্ট করে।
বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, নুসরাত কবীর বলেন, গতবছরের চেয়ে এবছরে সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে , এবার বেড়া পৌরসভা সহ মোট ১০টি ইউনিয়নে রবি মৌসুমে সরিষা চাষ হয়েছে, বেড়া পৌরসভায় ৩৬০ হেক্টর, চাকলা ইউনিয়নে ১১৮ হেক্টর, হাটুরিযা ইউনিয়নে ২৭০ হেক্টর, কৈটোলা ইউনিয়নে ১৩৫ হেক্টর,নতুন ভারেংগা ইউনিয়নে ৪২২ হেক্টর,পুরান ভারেংগা ইউনিনে ৬৮০ হেক্টর ,জাতসাখিনি ইউনিয়নে ৩২০ হেক্টর,রুপপুর ইউনিয়নে ৮৭৫ হেক্টর,মাসুমদিয়া ইউনিয়নে ৫০০ হেক্টর, ঢালারচর ইউনিয়নে ৫৭০ হেক্টর, মোট ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে এবছরে সরিষা আবাদ হয়েছে ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: