• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মাটির হাড়ি-পাতিল তৈরি করে সংসার চলে বিধবা সবিতা রানীর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১১ পিএম
মাটির হাড়ি-পাতিল তৈরি করে সংসার চলে
বিধবা সবিতা রানী

বরিশাল প্রতিনিধি : জীবিকার তাগিদে সারাদিন মাটির  তৈজস পত্র  তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে  হয় স্বামী  হারা বিধবা সবিতা রানী পালকে।

মাটির হাড়ি- পাতিল, ফুলের  টব, খেলনা,মাটির ব্যাংক ইত্যাদি  তৈরি  ও বিক্রি করে  সংসার চালান তিনি। বছর কয়েক আগেই স্বামীহারানো  বিধবা সবিতা রানী  একমাত্র ছেলে ও বৃদ্ধ  শাশুড়ী কে নিয়া অনেক কষ্টে  সংসারের  হাল ধরেছেন।

মাটির  বিভিন্ন  প্রকার তৈজস পত্র একাই তৈরি  করেন তিনি। বিক্রির কাজে তার এক ভাসুর তাকে সহযোগিতা করেন।

সরেজমিনে কথা  হয়  বাকেরগঞ্জ  উপজেলার  কলসকাঠি ইউনিয়নের সবিতা রানী পালের সাথে। আগে হাতেই  মাটি  প্রস্তুুত করত, তাতে অনেক সময় ব্যয় ও কষ্ট  হত।বর্তমানে  একটি  বেসরকারি  উন্নয়ন সংস্থা  থেকে  মাটি প্রস্তুুত ও তৈরীর মেশিন দেওয়া হয়েছে তাই কিছুটা কষ্ট কম হচ্ছে।  

সবিতা রানী পাল আরও বলেন,  বর্তমানে  প্লাস্টিকের তৈরি  জিনিস  পত্রের ভীরে মাটির তৈরি  শিল্প  বিলুপ্তির পথে। যদি ও মাটির তৈজস পত্র পরিবেশ  বান্ধব। তার পরও আধুনিকতার ভীড়ে এক প্রকার হারাতে বসছে  ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষী  বহন করা  এ শিল্পটি।
বর্তমানে  এই  শিল্পের বাজার চাহিদা  কম হওয়ায় অনেকেই পেশা বদল করে  অন্য  পেশা বেছে নিয়েছেন। তারপরও অনেক  পরিবার তাদের  বাপ -দাদার  পুরনো  এই পেশাটাকে ইতিহাস  হিসাবে  কোনমতে  টিকিয়ে  রাখছেন।

বাকেরগঞ্জের কলসকাঠিতে রয়েছে  সবচেয়ে  পুরাতন কুমার পাড়া। এখান কার তৈরি  মাটির  হাড়ি - পাতিল  রাজাধানী ঢাকাসহ সারা দেশে  বেশ  কদর ছিল।  যুগের পট পরিবর্তনে এখন  সব ইতিহাস। 
 স্হানীয়রা জানান, সারা বাংলার  নাম করা মাটির  তৈরী  হাড়ি - পাতিল এই কলসকাঠিতেই তৈরী হত। এখন মৃত প্রায় এ শিল্প কে বাচিয়ে  রাখতে  সরকারি  পৃষ্ঠপোষকতা  একান্ত  প্রয়োজন। তাহলেই  আবার ঘুরে  দাড়াবে কুমার পাড়ার এই মৃৎ শিল্পের  কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোয়ায় পরিবেশ বান্ধব তৈজস পত্রের মৃৎশিল্প।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image