• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিলেটের রেলস্টেশনও বন্ধ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৩ পিএম
সিলেটের রেলস্টেশনও বন্ধ
সিলেট রেলস্টেশন

ডেস্ক রিপোর্টার: সিলেট রেলস্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও স্টেশন থেকে চলবে ট্রেন।

শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এটি বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, রেলস্টেশনের মূল প্লাটফর্মে পানি প্রবেশ করায় এই স্টেশনে কোনো ট্রেন প্রবেশ করছে না।  

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুপুর ১২টার দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব কটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এতে দুই জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সিলেটসহ হাওড়াঞ্চল। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও থইথই পানিতে পুরো জনপদ। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষকে উদ্ধারে প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও।

পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

কানাইঘাটসহ সিলেটের সীমান্তবর্তী চার উপজেলা থইথই পানিতে তলিয়ে গেছে। উজানের ঢলের সঙ্গে যোগ হওয়া অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতে গ্রামের পর গ্রাম ভাসছে।

পানির তীব্র স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় আশ্রয়ের খোঁজে শেষ সম্বল হাতে নিয়ে নিজ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসিরা।

এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাসহ ১২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুদিন থেকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন সুনামগঞ্জবাসী। এদিকে জেলার সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়ায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যায়।

এ ছাড়া তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরের নদ-নদীর পানি বাড়ায় লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সীমান্তের ওপারে ভারি বর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘটসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

রৌমারী ও রাজিবপুর ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার আরও তিনটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় মাচা বা নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image