নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা রাষ্ট্রকে অসুস্থ-বিকৃত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই সরকার। যারা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে তাদের অসুস্থ বানিয়েছে। দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজমান। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে অসুস্থ করেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘যেসব নেতারা অসুস্থ, তাদের অনেকের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ করেছে। সরকারের লক্ষ্য একটাই, বিরোধীদল ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে অসুস্থ পরিবেশে কারাগারে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির ফলে প্রথমে হাসপাতাল, পরবর্তীতে বাসায় পাঠানো হয়। অথচ বলা হয়- দয়া করা হয়েছে। বিএনপি দয়া নয়, খালেদা জিয়ার জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তরুণদের দেশকে রক্ষায় রাষ্ট্রকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছে। বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে আওয়ামী লীগ বারবার নিজেদের মতো নির্বাচন করেছে। এটা আর হতে দেওয়া যায় না। আশা করি, সরকারের এখন শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলগুলো নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১২ জুলাই বুধবার তারুণ্যের সমাবেশ থেকে নতুন যাত্রার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: