• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কুষ্টিয়ার বিড়ি কারখানার মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০২ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৫৮ পিএম
ছয় দফা দাবিতে কুষ্টিয়ার
বিড়ি কারখানার মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন

আবির হোসেন, ইবি প্রতিনিধি: নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে কুষ্টিয়া বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বুধবার (২ নভেম্বর) কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন বিড়ি মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা। 

আন্দোলনকারীদের দাবিসমূহ, নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেওয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানিদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধুমাত্র ডিলার/পরিবেশকদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন। এ সময়  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি আট থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে তারা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। আর শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই এই শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।’ তবে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানিদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধু ডিলার/পরিবেশকদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া নকল বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোল প্রতিরোধে সকল পান বিড়ির দোকানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অভিযান পরিচালনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের উপ কমিশনার বরাবর ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image