গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হারুন অর রশিদ (৫৫) নামে এক হোমিও চিকিৎসককে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে হত্যা করেছেন রুবেল মিয়া (৩৮) নামে এক যুবক।
১৪ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলকে গণপিটুনি দিয়ে বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ ৪টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
নিহত হারুন অর রশিদ ওই ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। গয়েশপুর বাজারে বসবাস করেন। সেখানেই তিনি ফিরোজা হোমিও হল নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিন ধরে হোমিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ঘাতক রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও এসময় ভয়ে কেউ হারুন অর রশিদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাপ সরকার বলেন,পরষ্পর শোনতে পেলাম ছেলেটি মাদকাসক্ত ছিল। তারা উভয়েই প্রতিবেশী, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা জানা নাই।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ঢালী বলেন,’প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। এসময় উত্তেজিত জনতার গণপটিুনিতে আহত হয়েছে রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান,‘ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি ও বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ পাহারায় ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের দুই এস আই,রফিকুল ইসলাম,মদন চন্দ্র ও কনস্টেবল রফিকুল আহত হয়েছে।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: