• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠছে স্পেনের পুয়ের্তোলইয়ানো


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫৯ পিএম
বছরে ৪০ হাজার টন হাইড্রোজেন উৎপাদিত হচ্ছে
স্পেনের পুয়ের্তোলইয়ানো

নিউজ ডেস্ক:  বিমান, ট্রেন থেকে শুরু করে ইস্পাত কারখানা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে ব্যবহারের জন্য একটি শুদ্ধ ও কার্যকর বিকল্প জ্বালানি হচ্ছে হাইড্রোজেন। এর সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্পেনের একটি সাবেক খনিশহর বিশ্বের উদাহরণ হয়ে উঠছে।

শহরটির নাম পুয়ের্তোলইয়ানো। সেখানকার  সার কারখানায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফ্যার্তিবেরিয়া নামে ঐ সার কারখানার কর্মকর্তা ডেভিড হেরেরো বলেন, ‘‘অ্যামোনিয়া উৎপাদনের জন্য হাইড্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা যে সার বিক্রি করি তা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে অ্যামোনিয়া।

বর্তমানে পুয়ের্তোলইয়ানোতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে বছরে ৪০ হাজার টন হাইড্রোজেন উৎপাদিত হচ্ছে। এটি পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া নয়। হেরেরো জানান, প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে প্রতি টন অ্যামোনিয়া তৈরি করতে দুই মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়।

সবুজ হাইড্রোজেন সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে উৎপাদন করা হয়৷ কোনো জীবাশ্ব জ্বালানির প্রয়োজন হয় না৷ তবে এখন বছরে যে তিন হাজার টন উৎপাদিত হচ্ছে তা চাহিদার এক-দশমাংশেরও কম৷

ইবেরড্রোলা ইউটিলিটি কোম্পানির খাভিয়ের প্লাসা বলেন, ‘‘এটি ইউরোপের এমন সবচেয়ে বড় কোম্পানি৷ এটা ইবেরড্রোলা ও ফ্যার্তিবেরিয়ার মধ্যে একটি পাইলট প্রকল্প৷ আমাদের পরিকল্পনা ২০ মেগাওয়াট থেকে ৮০০ মেগাওয়াটে যাওয়া- পুয়ের্তোলইয়ানো ও পালো দে লা ফ্রন্তেরাতে, যেখানে ফ্যার্তিবেরিয়ার কারখানা আছে৷

স্পেন হাইড্রোজেনের হাবে পরিণত হচ্ছে৷ জাতীয় হাইড্রোজেন কেন্দ্রে বিষয়টি চোখে পড়ে৷ এটিও পুয়ের্তোলইয়ানোতে অবস্থিত৷ কেন্দ্রের পরিচালক মিগেল আংখেল ফ্যার্নান্দেজ সাঞ্চেজ বলছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থনের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও অর্থ সহায়তা আছে৷ সে কারণে কাজ আরও দ্রুত এগোচ্ছে৷ এছাড়া স্পেনে অনেক নবায়নযোগ্য জ্বালানি আছে- যা এনার্জি ট্রানজিশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেকটি ভৌগলিক সুবিধা৷

পরবর্তী দুই বছরে স্পেনে আরও বায়ু ও সৌরশক্তি অবকাঠামো নির্মিত হতে যাচ্ছে৷ এগুলো থেকে ৩৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, যা ২৫টি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমান৷ তবে এই পরিকল্পনা ও সবুজ হাইড্রোজেন তৈরির পরিকল্পনার সমালোচনাও হচ্ছে৷

পরিবেশকর্মী খাবিয়ের আন্দালুস বলেন, ‘‘অবশ্যই সেইসব কোম্পানির জন্য এটা ভালো হবে, যাদের আর কোনো বিকল্প নেই৷ কিন্তু স্পেনের জন্য এটা বাবলের মতো, অনেকক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়৷ এবং এ কারণে অনেক জায়গায় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিবাদ হচ্ছে৷

বেশি হাইড্রোজেন মানে বেশি পানির ব্যবহার৷ পুয়ের্তোলইয়ানোর কারখানায় এক কেজি সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে কমপক্ষে নয় লিটার পানির প্রয়োজন হয়৷ আর ঐ জায়গাটা স্পেনের দক্ষিণ অবস্থিত, যেটি খরাপ্রবণ এলাকা৷ আন্দালুস বলেন, ‘‘একটা চিন্তার বিষয় হচ্ছে আমাদের সবকিছুর জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকবে কিনা- শুধু এখনকার জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও৷ পূর্বাভাস বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দশকগুলোতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পানি কম পাওয়া যাবে৷

তবে জাতীয় হাইড্রোজেন কেন্দ্রের প্রকৌশলী ও গবেষকদের কাছে পানি কোনো সমস্যা নয়৷ মিগেল আংখেল ফ্যার্নান্দেজ সাঞ্চেজ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ইউরোপে হাইড্রোজেনের পুরো চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো, যার পরিমাণ দেড়শো থেকে ১৮০ মিলিয়ন ঘনমিটার৷ প্রতিবছর শুধুমাত্র স্পেনে সেচকাজে ব্যবহার হওয়া পুকুরগুলো থেকে এই পরিমাণ বাষ্প হয়ে যায়৷

ফ্যার্তিবেরিয়া সার কারখানা ইতিমধ্যে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে৷ কর্মকর্তা ডেভিড হেরেরো বলেন, ‘‘সবুজ হাইড্রোজেনের কারণে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমরা তা কাজে লাগাতে চাই এবং নতুন বাজারে ঢুকতে চাই৷

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image