
নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনীয়দের বিনিদ্র রাত পার করে রক্তাভ চোখে বন্দুক তুলে নিয়ে হামলাকারী রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধে প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করছেন। বিভীষিকার তিনটি রাত পার করে দেশটিতে রাশিয়ার হামলার চতুর্থ দিনও কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। কামানের গোলা আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মুহুর্মুহু কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি।
বিশ্বের প্রবল চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দেশে দেশে বিক্ষোভ, নিষেধাজ্ঞার বোঝা উপেক্ষা করে কিয়েভের দখল নিতে অনড় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন তার বাহিনীকে হামলা চালিয়ে যেতে বলেছেন। তবে যেমনটি আশঙ্কা ছিল, কয়েক ঘণ্টায় কিয়েভের পতন হবে, তা হয়নি। উল্টো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার দাবি করেছেন, পুতিনের পরিকল্পনা লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে। অনেক রুশ সেনা গ্রেপ্তার হয়েছে। যদিও এই দাবির পক্ষে নিরপেক্ষ প্রমাণ নেই।
কিয়েভের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় বলিষ্ঠ কণ্ঠে জেলেনস্কি তার দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর প্রতি রাশিয়াকে প্রতিহতে শেষ রক্ষবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জেলেনস্কি দেশ ছড়িয়ে পালিয়েছেন- মস্কোর পক্ষ থেকে এমন দাবি করার পর তিনি এই বার্তা দেন। তিনি বলেছেন, আমি কিয়েভেই আছি, থাকব ও লড়াই করে যাব। একই ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পশ্চিমা নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আমাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া লাগবে না। আমাদের এখন অস্ত্র চাই।' ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য করতে এবং রাশিয়াকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি এমন দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, যে কোনো সময় কিয়েভের পতন হতে পারে। গতকাল ক্রেমলিন দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের ৮০০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এ দিন তাদের হাতে পতন হয়েছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নগরী মেলিটোপোলের। অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় ক্রুজ মিসাইল হামলা চালানো হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: