• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ছেলেদের আঘাতে অসহায় মা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩৩ পিএম
ছেলেদের আঘাত
অসহায় মা

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি : মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়নের মাথরা গ্রামের মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সুলতান মিয়ার স্ত্রী লুৎফুন নাহার (৬৮)। তিনি অভিযোগ করেন তার ছেলে মামুন,ফয়সাল, রাজন ও ছেলেদের স্ত্রীদের দ্বারা তিনি  প্রায়ই শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হন।সুলতান মিয়া মৃত্যুকালে পাঁচ ছেলে রেখে মারা যান।তার কোনো মেয়ে নেই।প্রথম ছেলে ফারুক (৪৮), দ্বিতীয় ছেলে এনামুল হক শাওন, তৃতীয় ছেলে মামুন মিয়া(৩৭) চতুর্থ ছেলে ফয়সাল মিয়া ও পঞ্চম ছেলে রাজন(৩২)।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে লুৎফুন নাহার জানান, তার স্বামী একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার স্বামী জীবিত থাকা কালেই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, রেশন ও পারিবারিক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছেলে ফারুক, মামুন, ফয়সান ও রাজন নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করতো। বাবা সুলতান মিয়াকে ছেলে মামুন,ফয়সাল ও রাজন গালিগালাজ এমনকি মারধরও করেছে।মানসম্মানের ভয়ে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় কোনো আঘাত করতে পারে এই আশঙ্কায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয় নি। লুৎফুন নাহার বলেন, আমার স্বামী এবং আমার মৃত্যুর পর ছেলেদের মধ্যে যেনো সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কোনো মারামারি, ঝগড়া, ফ্যাসাদ  না হয় সেজন্য ১২/১১/২০ইং তারিখে আমরা আমাদের স্থাবর সম্পত্তির পজিশন নির্দিষ্ট করে পাঁচ ছেলের মধ্যে তাদের সম্মতিক্রমে নরসিংদী সাবরেজিস্টার অফিসে বেল ওয়াজ হেবা দলিল করে দেই।কিন্তু সুলতান মিয়ার মৃত্যুর বছর দুয়েক পরেই মুক্তিযুদ্ধের ভাতা, রেশন কার্ড নিয়ে ছেলে ফারুক, মামুন, ফয়সাল, রাজন ও তাদের স্ত্রীরা লুৎফুন নাহারের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।ফারুক মিয়া, মামুন মিয়া ভাতার চেক বইয়ের পাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং চেকবই তাদের কাছে রেখে দেয়।মামুন ও ফয়সাল রেশন কার্ড তাদের কাছে রেখে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ফারুক,মামুন,ফয়সা ও রাজন যোগসাজশে রাজন মিয়া ও মামুন মিয়া আমাকে ও তাদের বাবাকে মারধর করে ৫ টি স্ট্যাম্পে আরেক ছেলে এনামুল হক শাওনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য লিখে আমাকে ও আমার স্বামীর গলায় দাঁ ধরে তাতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এতে শাওনকে তারা তার ক্রয়কৃত সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে এবং তার সম্পত্তির দখল দিতে চাচ্ছে না। মা লুৎফুন নাহার আরও জানান, বড় ছেলে ফারুক মিয়া চালাকি ও কৌশল করে পাঁচদোনা মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ পাড়ার সরকারি প্লটটি একাই আত্মসাৎ করেছে।

তার ছেলে ফয়সাল, মামুন ও রাজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image