• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চাটমোহরে ওএমএস’র চালের বরাদ্দ কমেছে, অনেকেই ফিরছে খালি হাতে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৫ পিএম
ওএমএস’র চালের বরাদ্দ কমেছে
অনেকেই ফিরছে খালি হাতে

হেলালুর রহমান জুয়েল, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :  পাবনার চাটমোহরে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রির বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ক্রেতার চাহিদা বাড়লেও চাল বরাদ্দ অর্ধেকে নেমে আসায় অনেকেই চাল কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এ অবস্থা দেখা গেছে চাটমোহর পৌর সদরের ৪টি বিক্রয় কেন্দ্রে। ডিলারের দোকানে টাঙানো ব্যানারে আটার কথা লেখা থাকলেও এখন পর্যন্ত আটার বরাদ্দ পায়নি ডিলাররা।

সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ চাল বিক্রি করার কথা থাকলেও ডিলাররা বিক্রয় কেন্দ্র খুলতে না খুলতেই অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে চাল। তাই ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পেতে ক্রেতারা হুড়োহুড়ি, বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হচ্ছেন। ভোর থেকেই শিশু,নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন চালের জন্য।  

জানা গেছে,গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাটমোহর পৌর সদরে চারটি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে মাথাপিছু ৫ কেজি করে ওএমএস’র চাল বিক্রি শুরু হয়। চার জন ডিলার ২ টন করে চাল বরাদ্দ পান। গত ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২ টন করে চাল বিক্রি হলেও বরাদ্দ কমিয়ে ১৭ অক্টোবর থেকে দেওয়া হচ্ছে ১ টন করে চাল। ফলে আগের চেয়ে এখন অর্ধেক ক্রেতা চাল কিনতে পারছেন।

চাটমোহর পুরাতন বাজার ও নাড়িকেল পাড়া বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়,চাল না পেয়ে অনেক মানুষ খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও অনেকে চাল নিতে এসেছিলেন। মুলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকার সালেহা, মাজেদা ও জিলহজ জানান,যাওয়া আসা ৩০ টাকা খরচ হলেও চাল না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন তারা। মথুরাপুর ইউনিয়নের খরবাড়িয়া গ্রামের জন কোড়াইয়া ও বুলবুলীসহ অন্তত ৩০ জন চাল না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন।       

চাটমোহর পুরাতন বাজার বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলার তরুন পাল ও নারিকেল পাড়া বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলার খন্দকার সামসুল আল আমিন জানান, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রমের বরাদ্দ অর্ধেক কমে যাওয়ায় অনেকেই চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের খারাপ লাগলেও করার কিছুই থাকছে না। বরাদ্দ বাড়ালে গরিব মানুষ উপকৃত হবে। 

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জামাল উদ্দিন জানান, ওএমএস’র চালের প্রচুর চাহিদা। বরাদ্দ কমে যাওয়ায় কম সংখ্যক মানুষ চাল পাচ্ছেন। বরাদ্দ বাড়লে বেশি মানুষ চাল পাবেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল জানান,বরাদ্দ কমায় এ সমস্যা হচ্ছে। আমরা যতটুকু বরাদ্দ পাচ্ছি ততটুকু বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। যারা আগে আসবে তারা আগে পাবেন। খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে মনিটরিং বাড়ানো হবে।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image