• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কালাইয়ে রমজানে বেড়েছে ইমন মাঠার চাহিদা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪০ পিএম
কালাইয়ে রমজানে বেড়েছে
ইমন মাঠার চাহিদা

কালাই উপজেলা প্রতিনিধি : এমদাদুল হক নামের এক যুবক দু’বছর আগে চাকরীর পিছনে না ঘুরে নিজের বাড়ীতে স্থাপন করেছে মাঠা ও ঘি’র কারখানা।

প্রথমদিকে বাড়ীর পাশে শুধু কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিজেই বিক্রি করতো মাঠা ও ঘি।চাহিদা বেড়েই চলছিল তার কারখানার তৈরি মাঠা ও ঘি।এখন বিক্রি হচ্ছে পুরো জেলায়।গাভীর দুধের তৈরি ইমন মাঠা ও ঘি সরগরম হয়ে ওঠেছে পুরো জেলায়। 

বছরের সবসময় ইমন মাঠার চাহিদা থাকলেও রমজান এলেই বেড়ে হয় দ্বিগুণ।এর সাথে দামও বাড়ে। রমজানের প্রথম থেকে বিকেল গড়লেই ইমন মাঠার জন্য রোজাদারদের অপেক্ষা করতে দেখা যায় জেলার বিভিন্ন বাজারে।    

শনিবার(২৩ মার্চ) দুপুরে কথা হয় এমদাদুল হকের সাথে।তিনি কালাই পৌরশহরের কাজিপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।দু’বছর আগে নিজের বাড়ীতে মাঠা ও ঘি তৈরি কারখানা দেন।ব্যবসার নাম রাখেন তার একমাত্র ছেলে ইমনের নামে।প্রথমদিকে তিনি নিজেই বিক্রি করতেন।এখন তার কারখানায় প্রায় ১৫জন কর্মচারী কাজ করছেন।প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ মণ মাঠা বিক্রি হচ্ছে পুরো জেলায়।পাঁচটি উপজেলায় ৯টি ভ্যানে এসব মাঠা বিক্রি করছে তার কর্মচারীরা।    

কালাই বাসস্ট্যান্ডে মাঠা বিক্রির সময় কথা হয় আব্দুল হান্নানের সাথে। তিনি জানান,বছরের অন্যান্য সময় কম চললেও রমজান মাসে কারখানায় প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ মণ মাঠা উৎপাদন ও বিক্রি হয়ে থাকে।অন্য সময় প্রতি কেজি মাঠা বিক্রি হয় ৯০ টাকা এবং ঘি বিক্রি হয় ৮’শ টাকায়।রমজানে মাসে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতি লিটার মাঠা ১২০ টাকা এবং ঘি ১’হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

বছরের অন্য সময় দাম কম এবং রমজান আসলে দাম বেশী এর কারন জানতে চাইলে ইমন মাঠার মালিক এমদাদুল হক বলেন,দুধ ও চিনির দাম বেড়েছে।তাছাড়া রমজানে শ্রমিকদের মজুরিও দিতে হয় বেশি।ফলে দাম বাড়াতে হয়।তারপরও অন্যান্য কোম্পানীর চেয়ে আমার মাঠা ও ঘি’র দাম অনেক কম।

মাঠা কিনতে আসা শরিফুল( ৪০) নামের এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ইফতারিতে অন্যান্য পদের পাশপাশি মাঠা থাকলে ভাল লাগে। বিভিন্ন কোম্পানীর মাঠা খেতাম।গত দু’বছর থেকে ইমন মাঠা খাচ্ছি।কোম্পানীর মাঠার চেয়ে এটা অনেক উন্নত।এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দামও সস্তা রয়েছে।

মাঠা কিনতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম (৫৪) বলেন, প্রতিবছর রোজায় ইফতারের পর তিনি মাঠা পান করেন। এতে তাঁর তৃষ্ণা মেটে। শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। বাজারে নানারকম পানীয় পাওয়া যায়।কিন্তু বেশিরভাগই ভেজাল।রোজা রেখে সেগুলো পান করলে শরীরের ক্ষতি।তাই আমি ঘোলের ওপরেই নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারি।ইমনের মাঠাতে ভেজাল কোনো কেমিক্যাল মেশায় না।সে আমার দীর্ঘদিনের চেনা।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image